তরিকতপন্থি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত মতাদর্শী ইসলামী ছোট দলগুলো এবার বড় লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছে। ‘বৃহত্তর সুন্নি জোট’ ঘোষণার পর এবার তারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে থাকা ১২ হাজার মাজার ও দরবারকে ঐক্যবদ্ধ করার মিশনে নেমেছে। তারা এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বৃহত্তর সুন্নি জোটের ব্যানারে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ‘বৃহত্তর সুন্নি জোট’-এর শীর্ষ নেতা ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান মাওলানা এম এ মতিন বলেন, ‘জোট গঠনের প্রক্রিয়া শেষে এখন আমরা সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা দরবারগুলোকে এক করার চেষ্টা করছি। এটি সফল হলে আমরাই হবো দেশের বৃহৎ ইসলামী জোট।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনই আমাদের মূল লক্ষ্য। ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তরিকতপন্থি জোট।’ জানা যায়, এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তরিকতপন্থি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত মতাদর্শী তিন ইসলাম দল দূরত্ব ঘুচিয়ে হয়েছে ঐক্যবদ্ধ। প্রাথমিকভাবে তিন ইসলামিক দল- বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি নিয়ে এ জোটের যাত্রা হলেও দেশের সব তরিকতপন্থিদের এক ছাতার নিয়ে আনার জন্য কাজ শুরু করেছে জোটের নেতারা।
এ লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ১২ হাজার মাজার ও দরবারের অনুসারীদের ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছে। এ জন্য জোটের শীর্ষ নেতারা চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, ফেনী, চাঁদপুর, বি-বাড়িয়া, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, ফরিদপুর, পঞ্চগড়সহ দেশের বিভিন্ন এলাকার মাজার ও দরবারের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। চলতি মাসের শেষের দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কথা হয় বৃহত্তর সুন্নি জোটের একাধিক নেতার সঙ্গে। তারা জানান, এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখেই কাজ করছে বৃহত্তর সুন্নি জোট। দেশে কমপক্ষে ২৫ জেলায় শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে দরবারপন্থিরা। আরও ১৫টি জেলায় রয়েছে তাদের মাঝামারি অবস্থান। দেশের ভোটের হিসেবে কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ শতাংশ ভোট রয়েছে তরিকতপন্থিদের। এত দিন তরিকতপন্থিদের মধ্যে দূরত্ব থাকায় সুযোগ থাকলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ সুযোগ কাজে লাগাতে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে তরিকতপন্থিরা।