রাঙামাটিতে ৬ জন প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা। তিনি বলেন, রাঙামাটিতে নভেল করোনাভাইরাস শনাক্ত করতে না পারলেও আগাম সতর্কতা হিসেবে এসব প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। একই সাথে তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে স্পেনের ২ জন, চীনের একজন, ভারতের ২ জন ও কঙ্গোর একজন।
কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের কারো শরীরে জ্বর বা সর্দিসহ কোনো উপসর্গ পরিলক্ষিত হয়নি। তারপরও সর্তকতার অংশ হিসেবে এবং স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনানুসারে তাদের রাখা হয়েছে। যাতে তারা বাইরে ঘোরাঘুরি করতে না পরে। অন্তত ১৪দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে তাদের।
এদিকে, করোনা মোকাবিলায় রাঙামাটি জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে রাঙামাটির বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট ও মাক্স বিতরণ করা হচ্ছে।
বুধবার সকালে শহরের বনরূপা বাজারে স্থানীয়দের মাঝে লিপলেট ও মাক্স বিতরণ করেন রাঙামটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ। এসময় রাঙামাটি নেজারত ডেপুটি কালেক্টর উত্তম কুমার দাশ, রাঙামাটি পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. জামাল উদ্দিন, জেলা রোভার স্কাউটস কমিশনার মো. নুরুল আবছার উপস্থিত ছিলেন।
এসময় রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। তবে জনসচেতনা বৃদ্ধি করা সম্ভব। মানুষ সচেতন হলে করোনা আক্রান্ত থেকে মুক্তি পাবে। তাই সবাইকে নিজ নিজ স্থান থেকে সর্তক থাকতে হবে। করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য সংক্রমণ মোকাবেলায় রাঙামাটি সরকারি কলেজের নতুন একাডেমিক ভবনে ৫০ শয্যা, জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের পরিদর্শিকা কেন্দ্রে ৫০ শয্যা ও কাপ্তাইয়ে নতুনভাবে নির্মিত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনের ৫০ শয্যা মিলে সর্বমোট ১৫০ বেড প্রস্তত করে রাখা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম