লক্ষ্মীপুরে করোনাভাইরাস নিয়ে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতার অভাব দেখা যাচ্ছে। নির্দেশনা অমান্য করে স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন প্রবাসীরা। জনসমাগম এড়িয়ে চলার নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হচ্ছেনা। এতে দিন দিন ঝুঁকি বাড়ছেই।
স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, গত ৩০ দিনে বিভিন্ন দেশ থেকে এ জেলায় এসেছেন ৩ হাজার ৬৬২ জন, এর মধ্যে মাত্র ২১৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে সচেতনতাম‚লক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তবে এ রোগ ঠেকাতে এখনো জনসচেতনতার অভাব রয়েছে বলে মনে করছে সচেতন মহল।
সরেজমিন লক্ষ্মীপুর সদরের টুমচর ইউনিয়ন ঘুরে জানা যায়, গত এক মাসে এ ইউনিয়নে কুয়েত, আবুধাবি, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছেন ১৫ জন প্রবাসী। মঙ্গলবার বিকালে আবুধাবি প্রবাসী একজন চট্টগ্রাম বিমানবন্দর হয়ে বাড়ি ফেরেন।
তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যেমন মিশছেন, তেমনি হাট বাজারেও যাচ্ছেন। একইভাবে চলাফেরাসহ গ্রামের মানুষের সাথে মিশছেন পাশবর্তী এলাকার প্রায় সব প্রবাসী। তাদের ও পরিবারের সদস্যরা বলছেন, করোনাভাইরাসের কোনো আতঙ্ক নেই তাদের মাঝে। বিমানবন্দরেও তাদের কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়নি। তারা ভালো আছেন। এদিকে গ্রামের সাধারণ মানুষ রয়েছে করোনাভাইরাস আতঙ্কে।
এদিকে করোনাভাইরাস নিয়ে আমরা ক’জন মুজিব সেনা ও সবুজ বাংলাদেশসহ বিভিন্ন ব্যানারে জনসচেতনতামূলক প্রদর্শনী ও লিফলেট বিতরণ করতে দেখা গেছে। এছাড়া বিভিন্ন সংগঠনসহ উপজেলা ও থানা পর্যায়ের সংশ্লিষ্টরা সচেতনতামূলক প্রচারণাও চালাচ্ছেন। তবে সরকারের পক্ষ থেকে জনসমাগম এড়িয়ে চলার নির্দেশনা থাকলেও তাও কেউই মানছেন না।
বুধবার সকালে জেলার রায়পুরের হায়দারগঞ্জে বিশাল জনসমাগম করে মহামারি নিয়ে দোয়া করতে দেখা গেছে। এ সময় মোবাইলে ভিডিও ধারণ নিষেধ ছিল আয়োজকদের। তবুও সেই অনুষ্ঠানের ভিডিও এবং নানা ছবি ফেসবুকে দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনা হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর একদিকে প্রবাসীদের নিয়ম ভঙ্গ ও সাধারণ মানুষের অসেচতনতায় করোনা ঝুঁকি বেড়েই চলেছে বলে মনে করছে সচেতন মহল।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল গফফার গনমাধ্যমকে জানান, গত ৩০ দিনে প্রবাস থেকে জেলার ৫ টি উপজেলার ৩ হাজার ৬৬২ জন বাড়ি ফিরেছেন। এর মধ্যে ২১৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তবে অনেকেই হোম কোয়ারেন্টাইন মানছে না। জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রবাসী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টানে রাখার চেষ্টা চলছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ড।
জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্রপাল জানান, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নিয়ম ভঙ্গ করলেই ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ওসিদের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন