গাইবান্ধার ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরের মৃত্যুর ৬ দিন পর খবর প্রকাশ করল সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।
মৃত কিশোর জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে গত ২৫ এপ্রিল রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। ওই তারিখেই তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে ২৬ এপ্রিল সে মারা যায়। গত ২৭ এপ্রিল তার নমুনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। মৃত্যুর প্রায় এক সপ্তাহ পর রবিবার আইইডিসিআর এর পক্ষ থেকে তার মৃত্যুর বিষয়টি জানানো হয়।
কিশোরে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম খান। এদিকে, রংপুর মেডিকেলে নমুনা পরীক্ষায় চিকিৎসক-নার্স, পুলিশসহ নতুন করে ১১ জন করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে।
আক্রান্তরা হলেন, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসক (৫৪), সদর উপজেলার এক চিকিৎসক (৪২), রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা (৫৪), রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র নার্স (৪০), বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক কর্মকর্তা (৫৮), নগরীর মেডিকেল পাকার মাথা এলাকার এক যুবক (২৫), শালবন মিস্ত্রিপাড়া এলাকার সাড়ে ৩ বছরের এক শিশু, দক্ষিণ বাবুখাঁ এলাকার এক পুরুষ (৪৭), সেনপাড়ার এক বৃদ্ধ (৬৫), বিনোদপুর হলদিটারী এলাকার এক পুরুষ (৫২) ও পীরগাছা উপজেলার এক যুবক (২৫)।
রবিবার রংপুর মেডিকেল কলেজে নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ওই ১১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়।
রবিবার সন্ধ্যায় রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. একেএম নুরুন্নবী লাইজু বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর মেডিকেল কলেজে দুই দফায় ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে নতুন করে ১১ জন করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে।
তিনি জানান, রংপুর মেডিকেল কলেজে করোনা শনাক্তে পিসিআর মেশিন স্থাপন করা হয় গত ২ এপ্রিল। এরপর থেকে আজ ৩ মে পর্যন্ত ৩ হাজার ৫৭৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখানে এখন পর্যন্ত ১৫৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। আইইডিসিআরে মাধ্যমে রংপুর বিভাগে আরও ছয় জনের করোনা শনাক্ত করা হয়। এছাড়া দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয় পাঁচ জনের।
এ নিয়ে রংপুর বিভাগের আট জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৬৭ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে রংপুরে ৬৪, গাইবান্ধায় ১৮, দিনাজপুরে ২২, নীলফামারীতে ১৪, ঠাকুরগাঁওয়ে ১৮, কুড়িগ্রামে ২২, লালমনিরহাটে তিন এবং পঞ্চগড় জেলার ছয়জন রয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন