করোনাভাইরাস সংকট সেরে ওঠার পথে আছে এশিয়ার দেশ দক্ষিণ কোরিয়া। কিন্তু হঠাৎ করে নতুন কিছু আক্রমণে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের দ্বিতীয় ধাপের সংক্রমণের আতঙ্কে আছে দেশটি। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাজধানী সিউলের সব ক্লাব ও বার। নাগরিকদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন।
একটা পর্যায়ে করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চীনের পরেই অবস্থান ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার। অসাধারণ দক্ষতার সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে দেশটি। বিশ্বের অধিকাংশ দেশে যখন করোনার প্রকোপ বাড়ছে তখন স্বাভাবিক জীবনে ফেরার পথে দক্ষিণ কোরিয়া।
কিন্তু সিউলের মেয়র শনিবার জানান, নগরীর ইতায়েওনে কোভিড-১৯ এ বেশ কিছু নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। স্থানটি মাঝ রাতের সিউলের অন্যতম ব্যস্ত এলাকা।
ইতায়েওনের অন্তত পাঁচটি ক্লাব ও বারে ঘোরাফেরা করা ২৯ বছর বয়সী এক তরুণ গত সপ্তাহের দিকে করোনায় আক্রান্ত হন বলে খবর পাওয়া যায়। তার সংস্পর্শে আসা আরও অনেকে এরই মধ্যে কোভিড-১৯ এ শনাক্ত হয়েছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, ওই সময়ের ভেতর অন্তত ৭ হাজার ২০০ লোকের উল্লিখিত পাঁচটি জায়গায় চলাফেরা ছিল। যারা এসব জায়গায় চলাফেরা করেছেন তাদের সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
অসতর্কতা সংক্রমণের বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে বলে মনে করেন সিউলের মেয়র পার্ক উন-সুন। নগরীর সব ক্লাব ও বার অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কোরিয়া সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনাভাইরাসে নতুন ১৮ জন শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৭ জনই ইতায়েওন এলাকার।
রবিবার করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি, ৩৪ জন। গত বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ায় লকডাউন শিথিলের ঘোষণা দেওয়ার পর এটাই একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত।
সব মিলিয়ে দক্ষিণ করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৫৬ জনের।
করোনায় সম্ভাব্য নতুন সংক্রমণ নিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন- “এই স্থিতিশীল অবস্থাতেও সজাগ থাকতে হবে। যেকোনও সময় সংক্রমণ আবার বৃদ্ধি পেতে পারে। এটা এখনও শেষ হয়নি।”
বিডি প্রতিদিন/কালাম