শিরোনাম
১৩ জানুয়ারি, ২০২২ ২০:০৭

বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্কের ৫০ বছর, অনলাইনে বেসবল প্রশিক্ষণ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্কের ৫০ বছর, অনলাইনে বেসবল প্রশিক্ষণ

বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনলাইন বেসবল প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার জাইকার সহযোগিতায় জাপানের অন্যতম জনপ্রিয় পেশাদার বেসবল দল ইয়োমিউরি জায়ান্ট, বাংলাদেশ জাতীয় বেসবল দলকে অনলাইনে প্রশিক্ষণ দেয়।

এ সময় তারা বাংলাদেশ জাতীয় দলকে বেসবল সরঞ্জামও প্রদান করেছে। প্রশিক্ষণের যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো, জাইকা বাংলাদেশের চিফ রিপ্রেজেনটেটিভ ইউহো হায়াকাওয়া এবং বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।

ইয়োমিউরি জায়ান্টসের প্রাক্তন পেশাদার বেসবল খেলোয়াড়রা সেশনটি পরিচালনা করেন। ভেন্যু ছিল জাপানের ইয়োমিউরি জায়েন্টস স্টেডিয়াম এবং বাংলাদেশ পুলিশ স্কুল গ্রাউন্ড। জাপান, জাইকা এবং বাংলাদেশের মধ্যে অটল ও স্থায়ী বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে এটি একটি প্রতীকী আয়োজন।

সেই সাথে ইয়োমিউরি জায়েন্টস ও অন্যান্যদের পক্ষ থেকে বেসবল সরঞ্জাম (৪৮০টি বল, ৩২০টি ক্যাপ, ইত্যাদি) প্রদান করা হয়। দ্বিপক্ষীয় আস্থা ও সহযোগিতাকে ভিত্তি করে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। খেলাধুলা শান্তির প্রতীক এবং মানুষকে উৎসাহিত করার ক্ষমতা রাখে। দুই দেশের মধ্যে খেলাধুলা এবং অন্যান্য সামাজিক বিনিময়ের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক বোঝাপড়াকে সমৃদ্ধ করতে এই আয়োজন। 

১৯৭৩ সাল থেকে জাপান ওভারসিজ কো-অপারেশন, ভলান্টিয়ার্স (JOCV) পাঠানোর মাধ্যমে সহযোগিতা শুরু করেছে জাইকা। তারপর থেকে, জাইকার ১২৮৪ জন স্বেচ্ছাসেবক বাংলাদেশের জন্য কাজ করেছেন। তাদের মধ্যে ১১০ জন বাংলাদেশের খেলাধুলার প্রসারে অবদান রাখেন। 

২০০৩ সালে বাংলাদেশ বেসবল ফেডারেশন এবং জাতীয় দল প্রতিষ্ঠিত হয়। ফেডারেশনের লক্ষ্য জাতীয় দলকে শক্তিশালী করা এবং বাংলাদেশে বেসবলের জনপ্রিয়তা বাড়ানো। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ বেসবল দল নেপালের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো জয় লাভ করে। বর্তমানে দলটি স্থগিত ২০২১ সাউথ এশিয়া বেসবল কাপ জয়ের জন্য ক্রমাগত কঠোর অনুশীলন করছে।

এই ধরনের ইভেন্টের মাধ্যমে, এটি জাতীয় বেসবল দলকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি জাপান, জাইকা এবং বাংলাদেশের ৫০ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে উভয় দেশের মানুষ জানতে পারবে। এর মাধ্যমে পারস্পরিক বোঝাপড়াকে আরও গভীর করবে, মানুষে মানুষে আদান-প্রদানের প্রসার ঘটাবে এবং সংস্কৃতির বিনিময়কে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর