কক্সবাজারের টেকনাফে স্থানীয়দের বাড়িতে ডাকাতি ও দুই ভাইকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে রোহিঙ্গা দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার নয়াপাড়া মোছনী রেজিস্টার্ড ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন স্থানীয়দের বসতবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দুজনকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ করেন স্বজনরা। তারা হলেন দুদু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ তারেক (২২) ও মোহাম্মদ রাসেল (২০)। গতকাল সকাল সাড়ে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণে অপহৃত দুজনকে ছেড়ে দিয়েছে বলে জানায় ভুক্তভোগী পরিবার। তাদের অমানবিক শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। তাদের এনজিও পরিচালিত একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। স্থানীয়রা বলেন, মঙ্গলবার রাতে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের মোছনী নিবন্ধিত ক্যাম্প সংলগ্ন দুদু মিয়ার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় দুদু মিয়াসহ মহিলাদের এলোপাতাড়ি মারধর কর স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। একই সঙ্গে তার দুই ছেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এদিকে ডাকিত, অপহরণ ও রোহিঙ্গা দুর্বৃত্তরা স্থানীয়দের ওপর গুলি ছোড়ায় উত্তেজিত জনতা কক্সবাজার টেকনাফ সড়ক অবরোধ করে। সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবস্থান করছে শত শত জনতা। এ অবরোধ সকাল সাড়ে ৭টা থেকে প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা চলে। ক্যাম্পের ইনচার্জ হান্নান সরকার বলেন, বর্তমানে ক্যাম্পের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এপিবিএন পুলিশ ক্যাম্পে টহলে রয়েছে।
শত শত যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হয়। পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. আলী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উত্তেজিত জনতাকে সান্ত্বনা দিয়ে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেন।
মোহাম্মদ আলী বলেন, কিছু স্বশস্ত্র রোহিঙ্গা স্থানীয় দুজনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে এবং শারীরিক নির্যাতন চালায়। এ ঘটনায় স্থানীয় জনতা উত্তেজিত হয়ে সড়ক অবরোধ করে। তারা অভিযুক্ত রোহিঙ্গাদের আটক ও এলাকায় নিরাপত্তার দাবি জানান।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আদনান চৌধুরী জানান, অপহরণ ও সড়ক অবরোধ বিষয়ে অবগত হয়েছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানিয়েছেন তিনি।