কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসকদের ৮ দিন ধরে চলা কর্মবিরতি আজ রবিবার শেষ হয়েছে। আজ দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সভাকক্ষে আয়োজিত সভায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলে কর্মবিরতির কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। হাসপাতালে দু’দফা হামলার ঘটনায় এ কর্মসূচি ঘোষণা করে চিকিৎসকরা। এতে দুর্ভোগে পড়েন পাঁচশ’ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি ৮ শতাধিক রোগী।
হাসপাতালের সূত্র জানায়, পহেলা জানুয়ারি রাতে কুমিল্লা নগরীর মুন্সেফবাড়ি এলাকার সবুজ তার ৩ বন্ধু সজীব, নাজমুল হাসান ও রাজনকে নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসেন। হাসপাতালে তারা এক নারী চিকিৎসককে উত্ত্যক্ত করেন। এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে এসে ৪ ইন্টার্নি চিকিত্সক তাদের হাতে লাঞ্ছিত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ২ জানুয়ারি থেকে ইন্টার্নি চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে যান। এর মধ্যে ৬ জানুয়ারি রাতে পুনরায় হাসপাতালে প্রবেশ করে ইন্টার্নি চিকিৎসক ডা. সজীবুল হককে মারধর করা হয়।
বিএমএ কুমিল্লার সভাপতি ডা.গোলাম মহিউদ্দীন দীপু বলেন, বার বার চিকিৎসকদের উপর হামলার ঘটনায় আমরা জেলাব্যাপী কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমরা হাসপাতাল ক্যাম্পাসে পুলিশ ফাঁড়ি, প্রতি ওয়ার্ডে সশস্ত্র আনসার এবং হামলাকারীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেছি। আজ হাসপাতালের সভাকক্ষে সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, জেলা প্রশাসক মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. এবিএম খোরশেদ আলমসহ সভা হয়েছে। প্রশাসন আমাদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দেয়ায় কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/১০ জানুয়ারি ২০১৬/শরীফ