কারপাস পদ্ধতি নিয়ে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা কাস্টমস ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও জটিলতা নিয়ে দুইদিন ধরে সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দরে আমদানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বিপাকে পড়েছে আমদানিকারকরা।
ভোমরা বন্দরের বিপরিতে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। গত মঙ্গলবার থেকে বুধবার বিকেল পর্যন্ত কোন পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ না করায় বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
ভোমরা স্থল বন্দরের সহকারী কমিশনার (শুল্ক) শরিফ আল আমিন ও ভোমরা সিএন্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাছিম জানান, সম্প্রতি ভারতের কাস্টমস বিভাগ সেদেশের বন্দরে কারপাস সিস্টেম চালু করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১২ জানুয়ারি থেকে সেদেশের ঘোজাডাঙ্গা বন্দরে কারপাস সিস্টেম চালু করার কথা। কিন্তু অবকাঠামোগত সুবিধা না থাকায় কাস্টমস বিভাগের কাছে আগামী জুন পর্যন্ত সময় চায় ঘোজাডাঙ্গা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। কাস্টমস বিভাগ সময় না দেওয়ায় ১২ জানুয়ারি থেকে ঘোজাডাঙ্গা বন্দর দিয়ে ভারতীয় পণ্য রফতানি বন্ধ হয়ে যায়। এতে বাংলাদেশ পণ্য রফতানি করতে পারলেও আমদানি করতে পারছে না ব্যবসায়ীরা।
তিনি আরো বলেন, বিষয়টি সমাধানের জন্য মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ভোমরা স্থল বন্দরের কাস্টমস অফিসে ভারতীয় কাস্টমস ও বাংলাদেশি কাস্টমসসহ উভয় দেশের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা আলোচনায় বসে। কিন্তু তাতে জটিলতা নিরসন হয়নি। তবে প্যারিসিটমল পন্য ফল, মাছ, পান, পিয়াজসহ ৫টি পণ্য ছাড়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আশাকরা যায় সন্ধ্যার মধ্যে উল্লেখিত পন্যগুলো বাংলাদেশের ভোমরা বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে। মূল সমস্যাটা সেদেশের কাস্টমস ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের মধ্যে বিরাজমান।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৩ জানুয়ারি ১৬/ সালাহ উদ্দীন