সুন্দরবনের বিলুপ্তপ্রায় লোনা পানির কুমিরের সংখ্যা নিরূপনে রবিবার বিকাল থেকে শুরু হয়েছে কুমির গণনার কাজ। বিকালে বাগেরহাটের মংলায় ফরেস্ট ঘাটে এই কুমির গণনা কাজের উদ্বোধন করেন খুলনা সার্কলের বন সংরক্ষক জহির উদ্দিন আহমেদ।
এসময় সুন্দরবনের বণ্য প্রানী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা মো. জাহিদুল কবির, পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. সাইদুল ইসলাম, পশ্চিম বিভাগরে বিভাগী কর্মকর্তা মো. সাইদ আলী ও ক্যারিনামের নির্বাহী প্রধান এসএমএ রশীদ উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা সার্কলের বন সংরক্ষক জহির উদ্দিন আহমেদ জানান, বনবিভাগ ও সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন ন্যাচারাল রিসোর্সেস এন্ড ম্যানেজমেন্ট (ক্যারিনাম) যৌথভাবে এই জরিপ কাজ শুরু করেছে। বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সহযোগীতায় ৪০ সদস্যের একটি জরিপ দল আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গোটা সুন্দরবনে এ জরিপ কাজ পরিচালনা করবে। এতে করে সুন্দরবনে প্রকৃত পক্ষে কতোটি লোনা পানির কুমির রয়েছে তা জানা যাবে।
সর্বশেষ ১৯৮৫ সালের গণনানুযায়ী সুন্দরবনে দেড়শ থেকে দু’শ কুমির রয়েছে। গত ৩০ বছর ধরে সুন্দরবনের কুমির গণনা না হওয়ায় এখন লোনা কুমিরের সংখ্যা একশ’র নিচে নেমে এসেছে বলে আশংকা করেছেন সুন্দরবনের করমজল কুমির প্রজনন কেন্দ্রের সাবেক কর্মকর্তা ও কুমির বিশেষজ্ঞ মো. আব্দুর।
বিডি-প্রতিদিন/৩১ জানুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব