ইসরায়েলের একটি গোপন গোয়েন্দা স্থাপনায় রাডার ফাঁকি দেওয়া বিশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র একাধিক স্তরের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম। খবর ইরনার।
ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজা তালায়ি-নিক জানিয়েছেন, "আজকের হামলায় আমরা এমন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছি, যা শনাক্ত করা বা বাধা দেওয়া যায়নি। ইসরায়েলিদের জন্য এটি আকস্মিক ছিল। তারা এমন হামলা আরও দেখতে পাবে।"
তিনি আরও বলেন, "ইসরায়েল দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত নয়। কিন্তু ইরানের সামরিক বাহিনী অনেক শক্তিশালী, যার অনেক কিছু এখনও মোতায়েন করা হয়নি।"
এর আগে ইরানের সেনাবাহিনী দাবি করেছিল, গত ২৪ ঘণ্টায় তারা ২৮টি শত্রু বিমান শনাক্ত ও প্রতিহত করেছে। এর মধ্যে ছিল একটি গুপ্তচর ড্রোন, যা সংবেদনশীল স্থান থেকে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছিল। খবর আল-জাজিরার।
ইরান আরও দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলের একাধিক এফ-৩৫ স্টিলথ ফাইটার জেট এবং ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এ দাবির পক্ষে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ (যেমন ধ্বংসাবশেষের স্যাটেলাইট ছবি বা নিরপেক্ষ সূত্রের যাচাই) প্রকাশ করা হয়নি।
অন্যদিকে ইসরায়েল এসব দাবি নাকচ করেছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ইরানে তাদের চলমান অভিযানে কোনো বিমান বা ক্রু ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। আইডিএফ মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডেফ্রিন দাবি করেন, "তেহরানের আকাশে সম্পূর্ণ বিমান শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে ইসরায়েল।"
বিশ্লেষকদের মতে, এই পাল্টাপাল্টি দাবি ও পাল্টা হুমকি মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
সূত্র: ইরনা ইংলিশ
বিডি প্রতিদিন/আশিক