টানা ছয় মৌসুম এক দলে খেলা, তাঁকে তো ঘরের ছেলে না বলে উপায় নেই। শ্রীলঙ্কার পাকির আলির পর গাম্বিয়ার সুলেমান দিয়াবাতেই হচ্ছেন দ্বিতীয় বিদেশি দীর্ঘ সময়ে বাংলাদেশের এক ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। রক্ষণভাগে পাকির আলি টানা আট মৌসুম দৃঢ়তার সঙ্গে আবাহনীতে খেলেছেন। অন্যদিকে দিয়াবাতে টানা ছয় মৌসুম মোহামেডানের আক্রমণভাগের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন। টানা তিন মৌসুম দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে পাকির দ্বিতীয় কোনো দলে খেলেননি। কিন্তু ঘরের ছেলে হয়েও দিয়াবাতে মোহামেডান ছেড়েছেন বা বাধ্য হয়েছেন ছাড়তে। তাঁর নেতৃত্বেই গেল মৌসুমে মোহামেডান লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তিনিই কি না নতুন ঠিকানা হিসেবে বেছে নিয়েছেন আবাহনীকে।
দিয়াবাতে নতুন মৌসুমে আবাহনীতে খেলবেন তা অনেক আগেই নিশ্চিত হয়েছিল। কিন্তু এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে দলের প্রস্তুতিতে তাঁকে না দেখায় সন্দেহ জেগেছিল আদৌ আবাহনীতে খেলবেন কি না। শেষ পর্যন্ত সব জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটেছে। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগেই আবাহনীর জার্সিতে তাঁর অভিষেক হবে। আগামীকাল ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে কিরগিজস্তানের ‘মুরাস ইউনাইটেড’-এর বিপক্ষে লড়বে আবাহনী। সেদিনই তাঁকে মাঠে দেখা যাবে। গতকাল দিয়াবাতে আবাহনীর অনুশীলনে যোগ দেওয়ায় সমর্থকদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। দলীয় ম্যানেজার সত্যজিত দাশ রুপু জানিয়েছেন মঙ্গলবার দিয়াবাতেই হবেন দলের একমাত্র বিদেশি ফুটবলার। তাই এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে আবাহনীকে অন্যরকম আবাহনী বললেও ভুল হবে না। কেননা এর আগে এএফসি কাপে একাধিক বিদেশি নিয়েই মাঠে নেমেছিল আবাহনী। এবার তার ব্যতিক্রম ঘটবে। সুলেমান যে আক্রমণভাগে কুশলী খেলোয়াড় এ নিয়ে সংশয় নেই। কিন্তু দুই দিনের প্রস্তুতিতে দলের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারবেন কি? হেড কোচ মারুফুল হকও তা-ই ভাবছেন। তিনি বলেছেন, ‘শুরুতে একটু সমস্যা তো হবেই। তবে দিয়াবাতে বাংলাদেশে তো নতুন নন। আশা করি আবাহনীতে তিনি সেরাটাই দেবেন।’