স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যায় জড়িত প্রায় সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে, বাকিদেরও ধরা হবে।’ গতকাল সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘জাতি হিসেবে আমরা অসহিষ্ণু হয়ে পড়েছি। কোনো ধৈর্য নেই আমাদের। সমাজের অবক্ষয় হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আগে যে কোনো ঘটনা ঘটলে মানুষ প্রতিবাদ করতেন, প্রতিহত করতেন। এখন বিপদে পাশের কোনো মানুষও এগিয়ে আসে না, প্রতিবাদ করে না। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বেশির ভাগকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি। কিন্তু যে জীবনটা চলে গেল, সেই ক্ষতিপূরণ তো আর হবে না।’ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এই যে শেরপুরের ঘটনায় যে ভিডিও করছে, তার নানিকে মেরে ফেলা হচ্ছে অথচ সে দাঁড়িয়ে ভিডিও করছে আয় করার জন্য! আমাদের সমাজের কত বড় অবক্ষয় এটা। ইউটিউবের জন্য সে ভিডিও করেই যাচ্ছে। তার নাতিটা যদি চিল্লাই তো, তা হলেও তো কেউ সাহায্য করত।’ নিউমার্কেটে উদ্ধার অস্ত্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এগুলো দেশি অস্ত্র।
এগুলো যারা বানাচ্ছেন তাদের একটু কেয়ারফুল হতে হবে। যারা বানাচ্ছেন আমরা কিন্তু তাদেরও নিয়ে আসছি। যারা এসব অস্ত্র বানান, তারা জানেন এগুলো কারা ব্যবহার করছে।’
জুলাই-আগস্টের গণ অভ্যুত্থানের সময় পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্রের খোঁজ দিলে পুরস্কার মিলবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে শিগগিরই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। সেই সঙ্গে অস্ত্রের সন্ধানদাতাকে পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা করা হবে।’ লুট হওয়া ৭০০টির বেশি পুলিশের অস্ত্রের এখনো খোঁজ মেলেনি বলেও জানিয়েছেন উপদেষ্টা।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে প্রতি কেন্দ্রে তিনজন করে অস্ত্রধারী আনসার থাকবেন। একজন থাকবেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সঙ্গে। প্রতি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা থাকবে। এ ছাড়া প্রতি কেন্দ্রে বডি ক্যামেরা দেওয়া হবে।’
উপদেষ্টা জানান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মধ্যে চার দিনব্যাপী (২৫-২৮ আগস্ট) মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৬তম সীমান্ত সম্মেলন ২৫ আগস্ট ঢাকার পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে শুরু হবে।