ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন চাইছেন চারজন। হরিপুরের ৬, রানীশংকৈলের ২ ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ৮ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভাই মির্জা ফয়সাল আমিন, দলের নির্বাহী সদস্য ও সাবেক এমপি জুলফিকার জেড মর্তুজা চৌধুরী তুলা, ড্যাবের সাবেক মহাসচিব ডা. আবদুস সালাম ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি ফয়জুল ইসলাম হিরু।
এ আসনে জামায়াতের একক প্রার্থী দলের সাবেক জেলা আমির মাওলানা আবদুল হাকিম। এ ছাড়া গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী দলটির মুখপাত্র ফারুক হোসেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুহাম্মদ রেজাউল করিম। ঠাকুরগাঁও-২ আসনে কে হবেন ধানের শীষের প্রার্থী, এ নিয়ে খোদ দলের মধ্যেই দ্বিধাদ্বন্দ্ব বিরাজ করছে। যাঁরা প্রার্থী হতে চাইছেন তাঁরাও এ অবস্থার অবসান চাইছেন। এর জন্য তাঁরা যেমন কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন, তেমন দলীয় নেতা-কর্মীরাও উৎকণ্ঠায় আছেন। এ বাস্তবতায় ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে জামায়াতে ইসলামী। তবে দলীয় সূত্রগুলো থেকে বলা হচ্ছে, উভয় দলই নিজেদের পক্ষে মাঠ গোছানোর ব্যাপারে নজর রাখছে। পাশাপাশি সম্ভাব্য প্রার্থীরা গণসংযোগের পাশাপাশি যোগ দিচ্ছেন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে। বার্তা দিচ্ছেন ঐক্য আর শান্তির। কেউ কেউ দিয়ে যাচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতিও।
মনোনয়নের ব্যাপারে বিএনপি নেতা মির্জা ফয়সাল আমিন বলেন, ‘স্থানীয় জনগণের প্রত্যাশা ও দলীয় সিদ্ধান্তের ওপর সবকিছু বিবেচনায় রেখে বলতে চাই-এ আসনে আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হলে এলাকার মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ পাব।’ আরেক নেতা জুলফিকার জেড মর্তুজা চৌধুরী তুলা বলেন, ‘মাঠপর্যায়ে আমি পরীক্ষিত, দুবার এমপি ছিলাম। আমার প্রতি দলের আস্থা রয়েছে। আশা করছি আমি মনোনয়ন পাব। মনোনয়ন পেলে আবারও মানুষের পাশে থেকে কাজ করার সুযোগ পাব।’
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও-২ আসনে ভোটার ১ লাখ ৬৬ হাজার ২৬৭ জন। পুরুষ ৮৫ হাজার ২৭০, নারী ৮০ হাজার ৯৯৭ জন। নতুন ভোটার হয়েছেন ৮ হাজার ২৮৪ জন।