জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ করেছেন বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সমর্থকরা। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে বিক্ষোভ শুরু হয় দ্যাগ হ্যামারশোল্ড প্লাজা ও এর পাশের রাস্তায়। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ভার্জিনিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি জেড আই রাসেলকে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা পিটিয়ে আহত করে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যেই কিছুটা উত্তেজনা বিরাজ করে। পরস্পরবিরোধী সমাবেশে উত্তাল হয়ে উঠে গোটা এলাকা। নিউইয়র্ক পুলিশ বিক্ষোভ ও শান্তি সমাবেশের জন্যে ব্যারিকেড দিয়ে এলাকা চিহ্নিত করে দিলেও পরস্পরের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য/স্লোগানে কোনো কমতি ছিল না। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের ভাষণের সমর্থনে বিএনপির ‘শান্তি সমাবেশ’ও ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। আওয়ামী লীগের পূর্বঘোষিত ‘যেখানে ইউনূস-সেখানেই প্রতিরোধ’ কর্মসূচিতে অংশ নেন নেতা-কর্মীরা।
বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকনের নেতৃত্বে নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুল লতিফ সম্রাট, গিয়াস আহমেদ এবং জিল্লুর রহমান জিল্লু ও বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য গোলাম ফারুক শাহীনসহ সহস্রাধিক নেতা-কর্মী দ্যাগ হ্যামারশোল্ড প্লাজার সামনের রাস্তায় সমাবেশে অংশ নেন। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি, নিউইয়র্ক স্টেট ও মহানগর বিএনপি ছাড়াও শ্রমিক দল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দলের নেতা-কর্মীরা তাতে অংশ নেন। ফ্যাসিবাদের চির অবসানে মুহাম্মদ ইউনূসকে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা। স্লোগানে তারেক রহমানকে বাংলাদেশের পরবর্তী অবিসংবাদিত নেতা হিসেবেও অভিহিত করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য জিল্লুর রহমান জিল্লু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানাতে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সহস্রাধিক নেতা-কর্মী একত্রিত হয়েছিলাম। দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দাবি করেছি আমরা। এয়ারপোর্টে সংঘটিত ঘটনার জন্য দায়ী বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এবং নিউইয়র্ক কনস্যুলেটে কর্মরত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
অন্যদিকে, দ্যাগ হ্যামারশোল্ড প্লাজায় বিক্ষোভ সমাবেশে করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ড. সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী।
আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেছেন যে, বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের সস্তা অঙ্গীকারে ক্ষমতা দখলকারী মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার বাংলাদেশে চরম বৈষম্য তৈরি করেছে। হত্যা, লুট, অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি ধর্ষণের ঘটনাও অবিশ্বাস্য রকমভাবে বেড়েছে এবং যারাই এহেন অন্যায়ের প্রতিবাদ করেন তাদেরই হত্যার শিকার অথবা গ্রেপ্তার হতে হচ্ছে। তারা অবিলম্বে মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ দাবি করেছেন।