ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ বলেছেন, ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা পুনরায় শুরুর ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তেহরানের সরকারকে উৎখাতের চেষ্টা করলে তা মধ্যপ্রাচ্যে বিশৃঙ্খলা বাড়াবে বলেও যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছেন তিনি।
বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা।
কানাডার জি৭ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মাক্রোঁ বলেন, আমরা চাই না ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করুক। কিন্তু সবচেয়ে বড় ভুল হবে সামরিক হামলা চালিয়ে সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা করা। এতে শুধু অস্থিতিশীলতা বাড়বে।
ইরানের পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ ইস্যুতে পুনরায় আলোচনা শুরু ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দায়িত্ব হলো যত দ্রুত সম্ভব আলোচনা পুনরায় শুরু করা। যাতে পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র ইস্যুতে একটি দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করা যায়।
ইরাক ও লিবিয়ায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন আগ্রাসনের পরিণতির কথা ইঙ্গিত করে মাক্রোঁ বলেন, ২০০৩ সালে ইরাকে যা করা হয়েছিল, কেউ কি মনে করে সেটি ভালো সিদ্ধান্ত ছিল? পরবর্তী দশকে লিবিয়ায় যা হয়েছিল, সেটি কি ভালো সিদ্ধান্ত ছিল? না!
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্য এমন সময় এলো যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে ‘অবশ্যই আত্মসমর্পণ’ করতে বলেছেন। যদিও ইরানে যেকোনো ধরনের সামরিক পদক্ষেপের পরিবর্তে কূটনৈতিকভাবে পরিস্থিতি সমাধানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন মাক্রোঁ।
সূত্র : আল-জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/কেএ