দিনের শুরুতেই নাজমুল হোসেন শান্তকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে আরও একবার বড় জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম। দু’জনের ব্যাটিং নৈপুণ্যে দলও বড় সংগ্রহ পেয়েছে। তবে তাদের বিদায়ের পর লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা দাঁড়াতেই পারেননি। শেষ ২৬ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
ফলে দিনের শেষটায় আলো ছড়াতে পারেনি টাইগাররা। তবে এই ধস সত্ত্বেও ৫০০ ছুঁইছুঁই পুঁজি সংগ্রহ করে ফেলেছে টাইগাররা।
গল টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ৪৮৪ রান। অপরাজিত আছেন কেবল হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা। দুজনের কেউই রানের খাতা খুলতে পারেননি এখনো।
আজ দিনের প্রথম ঘণ্টায় বিদায় নেন আগের দিনের সেঞ্চুরিয়ান বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক শান্ত। তার ব্যাট থেকে আসে ২৭৯ বলে ১৪৮ রান। ১৫ চার ও ১ ছক্কায় সাজানো ইনিংসটি। শান্ত ও আগের দিনের আরেক সেঞ্চুরিয়ান মুশফিকের জুটিতে আসে ২৬৪ রান।
শান্ত গেলেও বাংলাদেশের ইনিংস বড় ধাক্কা খায়নি। কারণ এরপর হাল ধরেন মুশফিক ও লিটন। দিনের মধ্যভাগে বৃষ্টি বাগড়া দিলে খেলা আড়াই ঘণ্টা বন্ধ থাকে। এর আগেই অবশ্য ক্যারিয়ারের সপ্তম দেড়শ ছাড়ানো ইনিংস খেলে ফেলেন মুশফিক। আর লিটন দেখা পান ১৮তম টেস্ট ফিফটির। তৃতীয় সেশনে খেলায় ফেরে শ্রীলঙ্কা। মুশফিককে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন লঙ্কান পেসার আসিথা ফার্নান্দো।
বিদায়ের আগে ৩৫০ বলে ৯ চারে ১৬৩ রান করেন মুশি। অন্যদিকে লিটন ছুটছিলেন সেঞ্চুরির পথে। কিন্তু ব্যক্তিগত ৯০ রানে লঙ্কান পেসার মিলান রত্নায়েকের লেগেটিভ লাইনের বলে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে লেগ বিফোর হন লিটন। তার বিদায়ের পর একে একে ড্রেসিংরুমে ফেরেন জাকের আলি (৮), নাঈম হাসান (১১) ও তাইজুল ইসলাম (৬)। এরপর আলোক স্বল্পতায় খেলা বন্ধ হয়ে যায়।
শেষের ওই ধস বাদে দ্বিতীয় দিনশেষে বড় সংগ্রহ গড়ার স্বস্তি নিয়েই মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ দল।
এর আগের দিন টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করেন শান্ত ও মুশফিক। সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন দুজনেই। ৩ উইকেটে ২৯২ রান সংগ্রহ করে দিন শেষ করে বাংলাদেশ। ১৩৬ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নামেন শান্ত। আর ১৮৬ বলে পাঁচ চারে ১০৫ রানে দিন শুরু করেন মুশফিক।
বিডি প্রতিদিন/এমআই