কুড়িগ্রামে তীব্র শীত ও কনকনে ঠাণ্ডায় দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। দ্বীপ চর ও নদী তীরবর্তী এলাকায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না। গরম কাপড়ের অভাবে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়াদের অনেকে কাজেও বের হতে পারছেন না।
সবচেয়ে বেশি শীত কষ্টে ভুগছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। খড় কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকেই। সন্ধ্যার আগেই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে গোটা জনপদ। রাত বাড়ার সাথে সাথেই ঠাণ্ডার তীব্রতা বাড়তে থাকে। দিনের বেলায় হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহনগুলো।
কুড়িগ্রাম শহরের রিকশা চালক আফজাল হোসেন জানান, কয়দিন থাকি খুব শীত পড়ছে। দুপুর পর্যন্ত ঘর থাকি বাইর হতে পারি না। গরম কাপড় নাই। দুপুরে রিকশা নিয়া বাইর হই। আয় রোজকার একেবারে নাই।
সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র পাড়ের বৃদ্ধ আব্দুল জলিল জানান, হামরা নদী পাড়ের মানুষ। কয়েকদিন থেকে শীতের সাথে ঠাণ্ডা বাতাস। হাতে পায়ে ঠাণ্ডা ধরে। রাত হলে হিম পড়ে। গরম কাপড় নাই। ঠাণ্ডায় ঘরের ভিতরও থাকা যায় না।
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মো. জাকির হোসেন জানান, গত তিন দিন ধরে এ অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠা নামা করছে।
বিডি প্রতিদিন/১৫ ডিসেম্বর, ২০১৬/ফারজানা