মেহেরপুর সরকারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করে ছাত্রী প্রতি অতিরিক্ত ২শ' ৮০ টাকা করে আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগ বিদ্যালয়ের একাধিক অভিভাবক ও ছাত্রীর। সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৭শ' টাকা ভর্তির জন্য নেওয়ার নির্দেশ থাকলেও তা মানা হচ্ছেনা এ বিদ্যালয়ে।
এদিকে শ্রেণি ভেদে সরকারি খাতে জমা মাত্র ১২-২৪ টাকা। কিন্তু ৮৭২ - ৮৮৪ টাকা করে সেশন চার্জ বাবদ নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া মাসিক অন্যান্য বাবদ ৯০ টাকা নেওয়ার নোটিশও বিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ছাত্রীরা ভর্তি হতে গেলে ভর্তির সময় নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত আরো ১শ' টাকা।
মেহেরপুর চক্রপাড়ার এক ছাত্রীর অভিভাবক দিনমজুর আব্দুল মালেক অভিযোগ করে বলেন, নোটিশ বোর্ডের টাঙ্গানো নির্দেশনা অনুযায়ী টাকা নিয়ে যেয়ে মেয়েকে ভর্তি করতে পারিনি আতিরিক্ত ১শ' টাকার জন্য। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে দেখা করতে গেলে তিনি সাক্ষাত দেননি। তিনি রেস্টে আছেন বলে জানিছেন। পরে ১শ' টাকা নিয়ে যেয়ে মেয়েকে ভর্তি করি।
বিদ্যালয়ের ৮ ম শ্রেণির ছাত্রী হাবিবা বলেন, সেশন চার্য় বাদে অপ্রকাশিত খাতে মাসিক অতিরিক্ত ফি নামে ৯০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে এছাড়া ডিনারের নামে নেওয়া হচ্ছে ১শ' টাকা। বিগত বছরে আমাদের কাছ থেকে কখনো ডিনারের জন্য কোন টাকা নেওয়া হতনা। কিন্তু এবার দিতে হচ্ছে। দিতে না চাইলে স্যাররা ভর্তি বাতিলের হুমকি দিচ্ছেন।
বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রধান শিক্ষক তার নিজের ইচ্ছামত এ ফি নির্ধারণ করেছেন। এতে বিদ্যালয়ে প্রায় ১ হাজার ছাত্রীর কাছ থেকে অতিরিক্ত ৩ লাখ টাকার কাছাকাছি বিদ্যালয়ের ফান্ডে জমা হবে। তবে এ টাকা কোন খাতে ব্যায় হবে সে প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান শিক্ষরা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ মুঠোফোনে বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রের চেয়ে টাকা কম নেওয়া হচ্ছে। আমাদের চেয়ে অন্যান্য স্কুল ভর্তি ফি বেশি নিচ্ছে। বেসরকারী কর্মচারি, টিফিন ও কম্পিউটার বাবদ অতিরিক্ত ৯০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ছাত্রীদের কাছ থেকে রশিদ বাদে ডিনার বাবদ ১শ' টাকা নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন বিগত প্রধান শিক্ষক টিফিন ফান্ড নস্ট করে গেছে তাই এবার ডিনার করবো না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু পরে শিক্ষক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছাত্রীদের কাছ থেকে আতিরিক্ত ১শ' টাকা নিয়ে ডিনার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।