নাটোরের সিংড়া উপজেলার হাসপুকুরিয়া গ্রামের গৃহবধূ শিউলি খাতুন (৩৫) হত্যার আসামিরা ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রকাশ্যে। আসামিরা বাদী পক্ষকে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দিয়ে আসছে বলে জানা গেছে। তবে এই ব্যাপারে সিংড়া থানা পুলিশের নিরব ভুমিকা থাকায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, প্রায় ১৮ বছর পূর্বে সিংড়া উপজেলার হাসপুকুরিয়া গ্রামের মৃত রমজানের পুত্র আজাহার আলীর সাথে নন্দীগ্রাম উপজেলার হাটলাল গ্রামের মজিবরের কন্যা শিউলির বিয়ে হয়। বিয়েতে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দেয়। কিন্তু সন্তান না হওয়ায় প্রায়ই শিউলির উপর চলতে থাকে অমানুষিক নির্যাতন। মাঝে মাঝে মারধর করে তাকে বাড়িতে পাঠানো হয়। কিন্তু শত অত্যাচার সহ্য করে সংসারে স্বামীর সংসারে থাকে সে। এর মধ্যে প্রথম স্ত্রীর অমতে আজাহার দ্বিতীয় বিয়ে করে। পুনরায় ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে আজাহার। ঘটনার আগে তাকে নির্যাতন করা হয়। পরে গত ১৬ মার্চ দিবাগত রাতে স্বামী আজাহার বাড়ির অন্যদের সহায়তায় শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়।
এ মামলার বাদী শিউলির ভাই মোখলেছুর রহমান জানান, ঐ দিন রাতে শিউলি আমাকে ফোন দিয়ে বলে তাকে মারধর করা হচ্ছে। পরের দিন ফোন বন্ধ পেয়ে সন্দেহ হয়। সকালে খবর পেয়ে ছুটে গিয়ে শোবার ঘরে লাশ দেখতে পাই। তার গলায় ফাস দেয়ার চিহ্ন ছিল।
তিনি আরো বলেন, সিংড়া থানায় মামলা নেয়া হয়নি। পরে নাটোর কোর্টে মামলা দায়ের করি।
এ বিষয়ে সিংড়া থানার মামলার তদন্তকারী অফিসার এস আই আনহার বলেন, পোস্ট মর্টেম এর রির্পোট পাওয়া যায়নি। তবে আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২ জুলাই, ২০১৭/ আব্দুলাহ সিফাত-২২