বরিশালের উজিরপুর উপজেলার হারতা ইউনিয়নের নাথারকান্দি গ্রামে দেড় হাজার টাকা চুরির কথিত অভিযোগে অমানবিক নির্যাতনের শিকার ৭ম শ্রেণির ছাত্র সৈকত হাওলাদার ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
গত রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকার হলিফ্যামিলি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে সহপাঠী সহ এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তারা এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। নিহত সৈকত নাথারকান্দি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্র এবং স্থানীয় হতদরিদ্র কৃষক নজরুল হাওলাদারের ছেলে।
উজিরপুর মডেল থানার ওসি গোলাম ছরোয়ার জানান, শিশু নির্যাতনের খবর প্রথমে বিভিন্ন পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জেনেছেন। তার মৃত্যুর পর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
নিহতের চাচা টিটু হাওলাদার জানান, প্রায় ১ মাস আগে সৈকতের বিরুদ্ধে দেড় হাজার টাকা চুরির অভিযোগে একই গ্রামের শাহজাহান গোমস্তার দুই ছেলে সোহাগ ও মহসিনসহ অন্যরা শিশু সৈকতকে ধরে গাছে বেঁধে নির্যাতন করে। এতে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকার হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার মাথায় একটি অপারেশন করা হয়। অপারেশনের পর কিছুটা সুস্থ হয়ে সৈকত বাড়ি ফিরে এলে কয়েক দিনের মধ্যে সে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলাসহ আবারও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে পুনরায় ভর্তি করা হয় হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন