নিম্নমানের কাজ করতে বাধা দেয়ায় বরিশাল গণপূর্ত বিভাগের কার্য সহকারী শাহে আলমকে মারধর ও অফিসে হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির (এ) আহ্বায়ক ঠিকাদার বশির আহম্মেদ ঝুনুর বিরুদ্ধে। আজ দুপুর ২টায় মেডিকেল ক্যাম্পাসের উপ-বিভাগীয় কার্যালয়ে তাকে মারধরের পর দ্বিতীয় দফায় ঝুনুর সহযোগীরা নগরীর ভাটারখাল এলাকায় গণপূর্তের নিবার্হী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে ঢুকে গুরুত্বপর্ণ কাগজপত্র তছনছ এবং কয়েকজন কর্মকর্তাকে লাঞ্চিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। হামলার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলে তার আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
হামলার কথা স্বীকার করে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন বরিশাল গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ওসমান গনি। গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, ঠিকাদার বশির আহম্মেদ ঝুনু শেরে-ই বাংলা মেডিকেলের একাংশে প্রায় ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার-মেরামত কাজ করছে। সেখানে কার্য সহকারীর দায়িত্ব পালন করছে শাহে আলম। কাজের মান খারাপ হওয়ায় শাহ আলম ঠিকাদারকে নিম্নমানের কাজ করতে বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঝুনু তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তোর অফিসাররা কিছু বলে না, তুই এত বেশি বুঝ কেন’; এই বলেই শাহে আলম চর-থাপ্পর এবং কিল-ঘুষি দেয়। মার খাওয়ার পর শাহে আলম অফিসে এসে নির্বাহী প্রকৌশলীকে ঘটনা জানাচ্ছিলেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিকেল ৩ টার দিকে ঝুনু ও তার সহযোগীরা দ্বিতীয় দফায় অফিসে ঢুকে কয়েকজন উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে লাঞ্চিত করে এবং অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফাইলপত্র নিয়ে যায়। হামলার সময় তারা কোতয়ালী পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি তারা।
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ্ মো. আওলাদ হোসেন জানান, কার্য সহকারীকে মারধরের ঘটনায় গণপূর্ত বিভাগ লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। এদিকে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বশির আহম্মেদ ঝুনু বলেন, তিনি মারুফ আহম্মেদ নামে একটি লাইসেন্সের অনুকূলে মেডিকেলে আড়াই লাখ টাকার একটি মেরামত কাজ করছেন। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী কার্য সহকারী হাফ পার্সেন্ট উৎকোচ পায়, কিন্তু সে (শাহে আলম) ওই কাজে ২ পার্সেন্ট উৎকোচ দাবি করে। দাবি অনুযায়ী তাকে ২ পার্সেন্ট উৎকোচ না দেয়ায় সে কাজে নানা খুত ধরে এবং কাজ বন্ধ করে দেয়। খবর পেয়ে তিনি সেখানে যাওয়ার পর কার্য সহকারী শাহে আলম তার সামনে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে। এ নিয়ে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে সাব ঠিকাদার আল-আমীনের সাথে শাহে আলমের হাতাহাতি হয়। পরে সিনিয়র কর্মকর্তারা তাদের উভয়কে মিলিয়ে দেন। তিনিও এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করার কথা বলেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার