মিয়ানমারের কারাগারে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা শেষ হওয়া চার বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। বুধবার এক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবির) কাছে হস্তান্তর করে মিয়ানমার।
চার বাংলাদেশি হলেন, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়ার মৃত হোসাইন আহমদের ছেলে মোহাম্মদ জসিম (৪৪), আব্দুল গফুরের ছেলে মোহাম্মদ ইলিয়াছ (২৯), একই ইউনিয়নের মৌলভীপাড়ার আবুল কালামের আজগর আলী (৩৯) এবং সুলতান আহমদের ছেলে সাব্বির আহমেদ (৩৬)।
তাদের ফেরত আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ২ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার।
তিনি বলেন, বুধবার সকালে ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মিয়ানমারে পৌঁছানোর পর মংডু শহরে ১ নম্বর এন্ট্রি পয়েন্ট ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট অভিবাসনের সম্মেলন কক্ষে উভয় দেশের মধ্যে এ পতাকা বৈঠক অনুষ্টিত হয়। এ বৈঠকে ৮ সদস্যের মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের পক্ষে মংডু অভিবাসন বিভাগের কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক ইউ থং টুন অং নেতৃত্বে দেন।
এ পতাকা বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি সহকারী কমিশনার (ভূমি) টেকনাফ প্রণয় চাকমা, পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি পরির্দশক (তদন্ত) এবিএসএম দোহা, এসবি পরিদর্শক মিজানুর রহমান প্রমুখ।
প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক শেষে দুপুর দেড়টার দিকে প্রতিনিধি দল স্পিডবোট যোগে টেকনাফ ট্রানজিট জেটিঘাটে আসে।
এসময় ফেরত আসা চার জন বলেন, ২০০৮ সালের শেষে দিকে নাফনদী থেকে তাদের ধরে নিয়ে গিয়েছিল সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা। পরে বিভিন্ন মেয়াদে আমাদের সাজা দেন। এর মধ্যে সাজার মেয়াদ শেষ হলে বিজিবির প্রচেষ্টায় স্বদেশে ফেরত আসি।
মেজর শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার বলেন, আজগর আলী ও সাব্বির আহমদের (দু'জনের) ২৫ বছর ও অপর দু'জনের মোহাম্মদ জসিম ও মোহাম্মদ ইলিয়াছের ২১ বছর করে সাজা হয়েছিল। এর মধ্যে তারা সাড়ে নয় বছর সাজা শেষ করে বুধবার ফিরেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুমতি পাওয়ার পর এ চার জনকে ফেরত আনা হয়েছে। পরে তাদের থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এবিএমএস দোহা বলেন, ওই চারজনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন