গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, বাংলাদেশে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ সব ধর্মের লোকের বসবাস রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব ধর্মের লোকের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছেন। যে যার ধর্ম শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে পারছে। তবে আমি দৃঢ়তার সাথে বলছি, এদেশে কোরআন সুন্নাহর পরিপন্থী কোন আইন শেখ হাসিনা সরকার বাস্তবায়ন করেনি। আর ভবিষ্যতেও করবে না।
সোমবার সন্ধ্যায় পিরোজপুরের নেছারাবাদে বাংলাদেশ ক্বারী সমিতির উদ্যোগে তৃতীয় আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলনে স্বরূপকাঠি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে তিনি এ কথা বলেন। মরহুম হাফেজ ক্বারী সাইদুর রহমান ওয়েল ফেয়ার ট্রাষ্ট এর ব্যবস্থাপনায় এই ক্বিরাত সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সম্মেলনে মন্ত্রী আরো বলেন, একসময় এদেশে সরকারি ব্যবস্থায় কোন মসজিদ ব্যবস্থা ছিল না। কিন্তু আমাদের সরকার সরকারিভাবে দেশের ৬৪ টি জেলার প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদের ব্যবস্থা করেছেন। যে মসজিদে কেবল নামাজ আদায়ই নয়, সেখানে থাকবে ইসলামি ক্লাব, মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনের থাকার ব্যবস্থা। মোট কথা সেটা হবে ইসলাম চর্চার একটা কেন্দ্র।
তিনি আরো বলেন, মদ, জুয়া ক্যাসিনো এসব অনৈতিক জিনিসের মধ্য থেকে কোন জাতি এগোতে পারে না। তাই আপনারা ইতোমধ্য দেখেছেন কতো সম্রাটের মতো জুয়ারি মাদককারবারীদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিয়েছেন। মুসলিম বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের গভীর বন্ধুত্ব রয়েছে। আর তার পথ ধরেই তার কন্যা শেখ হাসিনা মুসলিম বিশ্বের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার করেছেন।
তিনি আরো বলেন, পবিত্র কোরআন পাঠ অনেকেই শুনেছেন। কিন্তু সহীহ শুদ্ধভাবে ক্বারিয়ানা কুরআন পাঠ অনেক সু-মধুর। আজকে সহীহ শুদ্ধভাবে আমরা দেশ-বিদেশের বিখ্যাত আলেম ওলামাদের মধুর কণ্ঠে পবিত্র কোরআন পাঠ শুনবো।
ক্বিরাত সম্মেলন শুনতে সোমবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলা ছাড়াও বরিশালের গোটা দক্ষিণাঞ্চল থেকে দ্বীনদার ইসলাম প্রিয় মানুষের যেন ঢল নেমেছিল।
মিসরের শায়খ ড. ক্বারী আবদুল নাসির, তানজিয়ার শায়খ ক্বারী রেজাই আইয়ুব, ভারতের ক্বারী তৈয়ব জামাল, বাংলাদেশের শায়খ আলহাজ্ব মাওলানা ক্বারী মো. হাবীবুর রহমানসহ আরো অনেক সম্মেলনে ক্বীরাত পরিবেশন করেন।
ট্রাষ্টের উপদেষ্টা সাবেক সাংসদ অধ্যক্ষ মো. শাহ্ আলমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ট্রাষ্টের সভাপতি মো. মাসুদুর রহমান, বাংলাদেশ ক্বারী সমিতির সভাপতি ক্বারী হাবিবুর রহমান। সম্মেলনে পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান, ইসলামি ফাউন্ডেশনের পিরোজপুরের উপ-পরিচালক একেএম সাদ উদ্দীন, নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবু, স্বরূপকাঠি পৌর মেয়র গোলাম কবিরসহ সমাজের বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল