রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, মৌলভীদের হাত থেকে নিজেদের সতর্ক রাখতে হবে। এরা আগে বলেছিল ছবি তোলা যাবে না। এখন ডিজিটাল যুগ। প্রযুক্তি এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার প্রযুক্তিকে গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়নের কাজ করছে।
তিনি বলেন, মহাপরিকল্পনা নিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি যারা বিরোধিতা করে, তারা শুধু ধর্মের কথা বলে, তাদের বলতে চাই একসময় কিছু মৌলভী বলেছিল ইংরেজি পড়া হারাম, ছবি তোলা হারাম। মাইক ব্যবহারে ফতুয়া দিয়ে বলেছিল মাইক ব্যবহার করা যাবে না। তারা আসলে বিভ্রান্ত করে।
তিনি আরও বলেন, একসময় পশু ব্যবহার করে মানুষ হাল চাষ করতো। এখন যন্ত্র আবিষ্কার হয়েছে। প্রযুক্তির সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই। যারা ধর্মকে ব্যবহার করে আমাদের দেশকে পিছিয়ে দিতে চায় তাদের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।
ঢাকা-বাংলাবান্ধা জাতীয় মহাসড়কের হার্ড শোল্ডার কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
শনিবার সকালে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ময়দান দিঘী এলাকায় এই প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। এই প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-বাংলাবান্ধা জাতীয় মহাসড়কের পঞ্চগড় সড়ক বিভাগীয় অংশে প্রায় সাড়ে এগারো কিলোমিটার রাস্তা দুই পাশে প্রশস্থ করা হবে। হার্ড শোল্ডার নির্মাণে খরচ হবে প্রায় ২৫ কোটি টাকা। পঞ্চগড়ের এই এলাকাটি দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা। তাই হার্ড শোল্ডার নির্মাণ হলে রাস্থা প্রশস্থ হবে। ফলে চলাচলে জনমানুষের স্বস্তি আসার পাশাপাপাশি দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমবে।
রেলমন্ত্রী এসময় ময়দানদিঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবন এবং ময়দান দিঘী উচ্চবিদ্যালয়ের বহুতল ভবন উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের রংপুর জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, সড়ক সার্কেলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো: সুরুজ মিয়া, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান, বোদা উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক আলম, বোদা পৌরসভা মেয়র ওয়াহিদুজ্জামান সুজা, ময়দান দিঘী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নকিবুল হাবিব বাবলা ও সাধারণ সম্পাদক মুকুল চন্দ্র রায় প্রমুখ। পঞ্চগড় সড়ক বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ফিরোজ আখতার।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন