ভাঙ্গার হামিরদী ইউনিয়নের হামিরদী গ্রামের গৃহবধূ সুমী বেগম (৩৫)। হত দরিদ্র পরিবারের বধূ হিসাবে পারিবারিক দীনতা মোকাবেলা করতে হচ্ছে তাকে দীর্ঘ দিন। স্বামী লালন শেখ (৪২) পেশায় ভ্যানচালক। স্বামীর আয়ে এক ছেলে, এক মেয়ে নিয়ে সংসারে যখন অন্ধকার দেখছিলেন, তখন সুমী বেগম ছাগল পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়। ছাগলের পাশাপাশি হাঁস, মুরগী, রাজহাঁস পালন করেন তিনি। গত ৬ মাসে হাঁস, মুরগী ও ছাগল পালন করে বেশ কিছু টাকা আয়ও করেছেন। সংসারের দীনতা অনেকটাই ঘুচে গিয়েছে।
সুমী বেগম জানান, গত ৬ মাসে দুটি ছাগল বিক্রি করে ১৩ হাজার টাকা, মুরগী বিক্রি করে ৩ হাজার ৬শত টাকা, তিনটি রাজ হাঁস বিক্রি করে আড়াই হাজার টাকা, মুরগীর ডিম বিক্রি করে ৩ হাজার টাকা আয় করেছেন।
সুমী বেগম আরও বলেন, বর্তমানে আমার ৯টি ছাগল, ১০টি মুরগী, ৮টি হাঁস রয়েছে। সংসারে মোটামুটি স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে। ভবিষ্যতে ছাগলের একটি খামার করার ইচ্ছা রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল