ভ্যাম্পায়ার দাঁত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রেন্ড হিসেবে ছড়িয়ে পড়া এ নতুন রূপসজ্জা এখন তরুণীদের মধ্যে উন্মাদনা তৈরি করেছে। অনেকে নিজেদের হাসিকে আরও আকর্ষণীয় করতে বেছে নিচ্ছেন এই বিশেষ দাঁতের সাজসজ্জা।
নিজের হাসিতে ভিন্নমাত্রা আনতে রুমকি ফেরদৌস নামের এক তরুণী পরামর্শ নেন দন্তচিকিৎসক ডা. লায়লা নূর ই নাজনীর কাছে। কাজ শেষে রুমকি জানান, “এটা আসলে সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্যই করা হয়। হাসিটা আরও তীক্ষ্ণ ও আকর্ষণীয় দেখায়। অনেকের ক্যানাইন দাঁত তেমন চোখে পড়ে না, ফ্ল্যাট মনে হয়। কাজটি করলে দাঁতটা একটু তীক্ষ্ণ হয় আর হাসিটা আরও সুন্দর লাগে। এ কারণেই করেছি।”
শুধু রুমকি নন, আরও অনেকে জানিয়েছেন যে ভ্যাম্পায়ার দাঁত তাদের হাসিকে আলাদা মাত্রা দিয়েছে। আরেক তরুণী বলেন, “আমি খুবই খুশি এই দাঁতের সাজসজ্জা নিয়ে। সবাই বলছে এটা আমাকে মানিয়েছে।”
সাধারণত ক্যানাইন দাঁতকে সামান্য তীক্ষ্ণ করে ভ্যাম্পায়ার দাঁত তৈরি করা হয়। পাশাপাশি কেউ কেউ দাঁতের সাজসজ্জায় ব্যবহার করেন সোনা, রত্ন বা বিভিন্ন ধরনের পাথর। এসব কাজ করেন দন্তচিকিৎসক ডা. লায়লা নূর ই নাজনী।
তিনি বলেন, “ক্যানাইন দুটোকে আমরা এক ধরনের বিশেষ উপাদান দিয়ে একটু গঠন করে তীক্ষ্ণ করি। এতে পুরো হাসিটাই আরও আকর্ষণীয় দেখায়। রোগীর চাহিদা অনুযায়ী সাদা পাথর, রত্ন বা সোনার আবরণ। যা চাইবেন, সেটাই করা যায়।”
তবে এ ধরনের সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন ডা. লায়লা। তার ভাষায়, “যার কাছে যাবেন তিনি দক্ষ কিনা, তিনি সত্যিকারের দন্তচিকিৎসক কিনা এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া জরুরি। ভুল হাতে গেলে ক্ষতির ঝুঁকি থাকে।”
বিশেষজ্ঞরা জানান, ভ্যাম্পায়ার দাঁত বা দাঁতের অলংকার করতে বেশ ব্যয় হতে পারে এবং নিয়মিত যত্নও প্রয়োজন হয়। এটাও মনে রাখতে হবে, দাতের সঙ্গে অন্যান্য ইন্দ্রিয়ও জড়িত। তাই যিনি এ সেবা গ্রহণ করবেন তাঁর শারীরিক অবস্থাও বিবেচনায় রাখতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/আশিক