শীতের মৌসুমে বাজারে পাওয়া যায় রসাল ও গাঢ় লাল রঙের বিটরুট। শুধু রঙেই নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর এই সবজি। নিয়মিত খাদ্য তালিকায় বিটরুট যুক্ত করলে শরীর পায় ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। বিটরুটকে সুপারফুডও বলা হয়। শরীরের রক্তশূন্যতা দূর করা থেকে শুরু করে ত্বক উজ্জ্বল রাখাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বিটরুট। আসুন জেনে নেওয়া যাক বিটরুটের ১০টি উপকারিতা—
১. রক্ত বাড়ায় ও রক্তস্বল্পতা দূর করে
বিটরুটে প্রচুর আয়রন রয়েছে, যা হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে এবং অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে কার্যকর।
২. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
বিটরুটের প্রাকৃতিক নাইট্রেট রক্তনালি শিথিল করে রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।
৩. লিভার পরিষ্কার রাখে
বিটরুটের বেটালেইন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারের ডিটক্স কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
৪. হজমশক্তি বাড়ায়
ফাইবারসমৃদ্ধ বিটরুট কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় এবং হজম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখে।
৫. ত্বক উজ্জ্বল করে
বিটরুটের ভিটামিন সি ত্বকের দাগ-ছোপ কমায় এবং ত্বকে আনে প্রাকৃতিক গ্লো।
৬. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও মিনারেল শরীরকে রোগ-জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সক্ষম করে তোলে।
৭. হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে
বিটরুটে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রেট আছে। নাইট্রেট রক্তনালিকে শিথিল করে। এতে রক্তসঞ্চালন সহজ হয়। তাই বিটরুট খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে।
৮. ওজন কমাতে সহায়ক
কম ক্যালরিযুক্ত হলেও অত্যন্ত পুষ্টিকর বিটরুট ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৯. মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়
বিটরুট রক্তপ্রবাহ বাড়িয়ে স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ ও মানসিক সতর্কতা উন্নত করে। নিয়মিত খাবারের তালিকায় এই সবজিটি রাখলে শরীর থাকবে সুস্থ, প্রাণবন্ত ও কর্মক্ষম।
১০. ব্যায়ামে শক্তি বাড়ায়
বিটরুট জুস শরীরে স্ট্যামিনা বাড়ায়, ফলে ব্যায়াম বা দৌড়ানোর সময় ক্লান্তি কম হয়।
বিডি-প্রতিদিন/তানিয়া