বগুড়ার নন্দীগ্রামে পৌর শহরের ছাত্রাবাস থেকে মইনুল ইসলাম (৩২) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে।
আজ রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে নন্দীগ্রাম পৌর শহরের রহমান-নগর এলাকায় ‘মিলি’ ছাত্রাবাস থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি নাটোরের সিংড়া উপজেলার বিদহর গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে।
জানা গেছে, মইনুল প্রতিদিনের মতো রাতে নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি না ওঠার কারণে ছাত্রাবাসের মালিক তাকে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু সাড়া পাননি। এ সময় দরজা ধাক্কা দিয়ে খুলে ঘরের মেঝেতে ওপর হয়ে পরে থাকতে দেখা যায় মইনুলকে। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করেন। বিছানা থেকে একটি চিরকুট পেয়েছে পুলিশ।
চিরকুটে মইনুল ইসলাম লিখেছেন, 'প্রিয় বাবা-মা, আমি তোমাদের ছেলে মইনুল। তোমাদের ছেড়ে চলে গেলাম। এর জন্য কেউ দায়ি নয়। আমি আবারও বলছি, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ি নয়। আমি বাবার কাছ থেকে এক লাখ টাকা পাবো, সে টাকা যেন বড় ভাই আরিফুলকে দিয়ে দেয়। ছানোয়ারের কাছ থেকে যে টাকা পাবো, সেটা যেন না নেয়। তাদের দুজনকে দিয়ে দেয়। আমি তাদেরকে দিয়ে গেলাম। আমার গলায় ক্যান্সার হয়েছে। আমি কষ্ট করে মরার চেয়ে জীবন দিয়ে গেলাম। এর জন্য কেউ দায়ি নয়, তোমাদের ছোট ছেলে মইনুল।'
ঘটনা নিশ্চিত করে নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, ‘স্থানীয়রা খবর দেওয়ার পর মঈনুলের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই একটি চিরকুট পাওয়া যায়। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে বিষদ্রব্য জাতীয় কিছু খেয়ে সে আত্মহত্যা করেছে।'
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির