২ ডিসেম্বর, ২০২১ ২০:১০

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

প্রতীকী ছবি

বগুড়া সারিয়াকান্দিতে ২য় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি তারই স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বেড়াপাঁচবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু রায়হান বাদল তার স্কুলের ২য় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছেন। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে ঘরে আটক করে রাখা হয়। স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে ৩ লক্ষ টাকায় সমঝোতা হয়। রফাদফা শেষে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে নেতাকর্মীরা ছেড়ে নিয়ে যায়। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক কাজলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি। অভিযোগকারী না পাওয়ায় এ বিষয়ে থানায় কোন মামলা দায়ের হয়নি। 

ভিকটিমের চাচী বলেন, বুধবার রাত ১০টায় বাদল মাষ্টার আমাদের বাড়ী হতে চলে যায়। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় নতুন ঢোল বাজানো শেখানোর কথা বলে আমার ভাতীজীকে মোটরসাইকেলে করে স্কুলে নিয়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা পর আমার ভাতীজী দৌড়ে এসে আমাদের বাড়ীতে পরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। জ্ঞান ফিরলে সে বলে, বাদল মাষ্টারকে ধরে নিয়ে আসো ওকে আমি মেরে ফেলব। পরে জানতে চাইলে সে আমাদের কাছে লোমহর্ষক ধর্ষণের ঘটনা জানায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় বাদলকে আমরা বাড়ীতে আটক করে রাখি। স্থানীয় নেতাকর্মীদের চাপে বাদলকে আমরা ছেড়ে দিতে বাধ্য হই।

ভিক্টিমের বাবা জানান, স্থানীয়দের পরামর্শে আমি আমার মেয়েকে নিয়ে বাড়ী ছেড়ে মাদারগন্জ চলে এসেছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জানান, ৩ লক্ষ টাকা দেয়ার কথায় ভিক্টিমের পরিবারের সাথে বিষয়টির রফাদফা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় পরিবারকে টাকা দেয়া হয়েছে। উক্ত ঘটনায় বেড়াপাঁচবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি তালাবন্ধ ছিল। বেলা ১২টায় স্কুলে কোন ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক ছিলো না। কোন জাতীয় পতাকাও উত্তোলন করা হয়নি।

সারিয়াকান্দি উপজেলা শিক্ষা অফিসার গোলাম কবির জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত হয়েছি। ঘটনাটির সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সারিয়াকান্দি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা লায়লা পারভিন নাহার জানান, আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনাস্থলে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক এবং ভিক্টিমের কাউকেই পাওয়া যায়নি। ফলে সঠিক ঘটনা এখনো জানা যায়নি।
সারিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, ঘটনা সম্পর্কে অবগত হওয়ার সাথে সাথেই আমার পুলিশের একদল চৌকস দল ঘটনাস্থলে প্রেরণ করেছিলাম। এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে ঘটনাটি সঠিকভাবে তদন্ত করে দেখা হবে।

বিডি প্রতিদিন/এএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর