ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে থানা পুলিশের হেফাজতে ব্যবসায়ী নজির আহমেদ সাপুর মৃত্যুর ঘটনায় অবশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ব্যবসায়ী নজির আহমেদ সাপুর স্ত্রী শিরীন সুলতানা রিমা বাদী হয়ে সরাইল থানার এস. আই. সাইফুল এবং এ.এস.আই সাইফুলসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনকে আসামি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন। বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ শারমিন সুলতানা নিগার বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করে মামলাটি আদেশের জন্য রেখে দেন। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিজ্ঞ আদালত এই মামলার কোন আদেশ দেননি। দাখিলকৃত মামলায় অপরাপর আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগের পাশাপাশি উল্লেখিত দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু নির্ধারণ আইনে (২০১৩ ) এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের জুম্মান নামের এক আসামি গত ২১ এপ্রিল রাতে ব্যবসায়ী নজির আহমেদ সাপুর ঘরে প্রবেশ করলে তাকে আটক করলে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামি জুম্মান ও ব্যবসায়ী নজিরকে থানায় নিয়ে আসার পর রাত আনুমানিক সাড়ে ১০ টায় পুলিশ হেফাজতে ব্যবসায়ী নজিরের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী নজিরের মরদেহ হাসপাতালে রেখেই পুলিশ তড়িঘড়ি করে নিজেরাই থানার কম্পিউটারে এজাহার লিখিয়ে নজিরের বড় ভাই জাফর আহমেদকে বাদী করে একটি এফআইআর গ্রহণ করে।
এদিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দায়েরকৃত মামলায় সরাইল থানার এস.আই সাইফুল এবং এ.এস.আই সাইফুলসহ আগের মামলার ১৩ আসামিকে আসামি করা হয়েছে।
বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী অ্যাডভোকেট মো. নাছির মিয়া জানান, বিজ্ঞ আদালতে দ্বিতীয় বার এফআইআর গ্রহণ করার পক্ষে আমরা উচ্চ আদালতের রেফারেন্সসহ আমাদের যুক্তি তুলে ধরেছি। আদালত বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল