শেরপুরে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী ফুরকান আলীকে (৩৬) মৃত্যু দণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান রায় ঘোষণা করেন। ফুরকান আলী শ্রীবরদী উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের চেল্লাকান্দি এলাকার ময়দান আলীর ছেলে।
তবে মামলার পর থেকেই পলাতক রয়েছে ফুরকান। একই সাথে মামলার অপর ৩ আসামি ফুরকানের বাবা ময়দান আলী (৫৯), মা ফুলেতন বেগম (৪৯) ও আত্মীয় সওদাগর আলীর (৬১) বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। হত্যার শিকার ওই নারীর নাম জহুরা বেগম (২৩)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু।
আদালত সূত্র জানায়, ঘটনার বছর ছয় আগে ওই দম্পতির বিয়ে হয়। ২০১১ সালের ২ জুলাই রাতে এক সন্তানের জননী স্ত্রী ও শ্রীবরদী উপজেলার বড়গেরামারা এলাকার আব্দুল জব্বারের মেয়ে জহুরা বেগমকে (২৩) যৌতুকের দাবিতে মারপিট করা হয়। যৌতুক না পেয়ে ওই রাতে একপর্যায়ে জহুরাকে মারপিট ও শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখে স্বামী ফুরকান আলী।
ওই ঘটনায় পর দিন ফুরকান আলী, তার বাবা-মা ও ২ আত্মীয়সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে শ্রীবরদী থানায় মামলা দায়ের করেন জহুরা বেগমের বড় ভাই ফজলুল হক। তদন্ত শেষে একই বছরের ২০ নভেম্বর ফুরকানের আত্মীয় আজিজুর রহমান ব্যতীত ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন শ্রীবরদী থানা পুলিশ। পরবর্তীতে একমাত্র ময়দান আলী হাজির হয়ে বিচারের মুখোমুখি হলেও অপর ৩ আসামিই পলাতক থাকে। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজ আদালত এই রায় দেন।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর