নেত্রকোনায় জেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমাদানকারী তিন জন প্রার্থীই রয়ে গেছেন। সাধারণ সদস্য পদে আপীল করে দুজনের প্রার্থিতা পেলেও একজন প্রত্যাহার করে নেয়ায় ৩৫ জন রয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী। এ ছাড়া সংরক্ষিত সদস্য পদে দুজন প্রত্যাহার করায় মোট ১২ জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এদিকে জেলার ১০ উপজেলার ৮৪ টি ইউনিয়ন ও ৫টি পৌরসভায় মোট ১২১১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে এডভোকেট অসিত কুমার সরকার ওরফে সজল মনোনয়ন দাখিল করেন। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির (জাপা) কার্যনির্বাহী সদস্য ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য মোছা. রহিমা আক্তার (আছমা সুলতানা) ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এবং প্রয়াত জনপ্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু ফরিদ খানের ছেলে মো. আবু সাহিদ খান জ্যোতি চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট অসিত কুমার সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাংকের অর্থ ঋণের মামলা থাকার বিষয়টি যাচাই বাছাইয়ে উঠে আসলেও তিনি নির্বাচনের পরবর্তী সময় পর্যন্ত উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ দেখিয়ে পার পেয়ে যান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুল লতিফ শেখ জানান, সিআইবি অর্থাৎ ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে আমরা তালিকা পাঠাই সেই তালিকায় ঋণমুক্ত দেখানো হয়েছে। তবে যাচাই-বাছাইয়ের সময় স্থানীয় সোনালি ব্যাংক থেকে ঋণ খেলাপির আপত্তি উঠলে প্রার্থী আদালত কর্তৃক স্থগিতাদেশের রায়ের কপি জমা দেন।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর