ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ভোলায় রবিবার সকাল থেকে আকাশ কিছুটা মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। মাঝে মধ্যে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। তবে বাতাসের গতিবেগ স্বাভাবিক আছে।
এদিকে গত দুই দিন ধরে মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে সকল প্রকার নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে মাছ ধরা। এতে ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটে আটকা পড়েছে শতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত রাতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার কেন্দ্রগুলোতে প্রায় ১০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। সদর উপজেলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে গিয়ে শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন ভোলা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তবে সকাল হতে না হতেই আশ্রয়কেন্দ্র থেকে মানুষজন নিজ নিজ বাড়ি চলে গেছেন।
জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক ই-লাহী চৌধুরী জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ৭৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত আছে। সাত উপজেলায় ৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ১৫ হাজার সিপিপি এবং ৫ হাজার রেড ক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় নগদ ৮ লাখ টাকা এবং ৩৫০ মেট্রিক টন চালসহ শুকনো খাবার ও ঢেউটিন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকায় ভোর থেকে কিছু কিছু জেলেকে মেঘনার কূলের কাছাকাছি গিয়ে মাছ ধরতে দেখা গেছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই