ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক উসকানিমূলক বক্তব্য ও কার্যকলাপে ভাঙ্গা উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত হয়েছে।
শুক্রবার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি বলা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসসংক্রান্ত গেজেট অনুযায়ী ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন ফরিদপুর-৪ আসন থেকে পৃথক করে ফরিদপুর-২ আসনের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করায় স্থানীয় জনসাধারণ ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঢাকা-খুলনা, ঢাকা-বরিশাল, ফরিদপুর-ভাঙ্গা মহাসড়কে অবস্থান ও অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করছে। ওই কর্মসূচিকে পুঁজি করে সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক উসকানিমূলক বক্তব্য ও কার্যকলাপে ভাঙ্গা উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী এই আন্দোলনকে সহিংস আন্দোলনে রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে ভিডিও বার্তায় বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে অবৈধ বলে উল্লেখ করেন। তিনি এরূপ রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য প্রদানের পাশাপাশি তার দলীয় কর্মী-সমর্থকদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ও প্রয়োজনে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। নিক্সন চৌধুরীর ভিডিও বার্তাটি তার সমর্থকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার করেন এবং এর মাধ্যমে তার অনুসারীদের পাশাপাশি সাধারণ জনগণকে আন্দোলনে সহিংস হতে উসকে দেন।
পুলিশ জানায়, এরই ধারাবাহিকতায় ১৫ সেপ্টেম্বর সাধারণ জনগণের আন্দোলনে অনুপ্রবেশকারী তার অনুগত কর্মী-সমর্থকরা ভাঙ্গা থানা, ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা, ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, ভাঙ্গা নির্বাচন অফিস ও ভাঙ্গা কৃষি অফিসে ভাঙচুর এবং সরকারি গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ব্যাপকভাবে সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করে। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভাঙ্গা থানায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
পুলিশ আরও জানায়, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করায় গতকাল শনিবার আরো একটি ভিডিও বার্তায় নিক্সন চৌধুরী পুনরায় বর্তমান সরকার, নির্বাচন কমিশনকে অবৈধ হিসেবে আখ্যায়িত করার পাশাপাশি পুলিশের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষোদগার করেন। যেখানে তিনি মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে মর্মে দাবি করে সাধারণ জনগণকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, যা ভবিষ্যতে আরো ধ্বংসাত্মক আন্দোলনের ইঙ্গিত দেয়। জনগণের প্রতি আহ্ববান, কারো কোনো উসকানিমূলক বক্তব্যে বিভ্রান্ত না হয়ে জনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আইন মেনে চলুন এবং পুলিশকে সহযোগিতা করুন। মামলা দিয়ে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে হয়রানি করা হবে না মর্মে পুলিশের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হলো। কেউ যদি উসকানিমূলক বক্তব্য বা গুজব প্রচারে অংশ নেয় তা দ্রুত নিকটস্থ থানায় জানানোর অনুরোধ করা হলো।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ