পটুয়াখালীর দুমকিতে পালিয়ে বিয়ে করায় অপহরণ মামলায় ছেলে ও অন্তসত্ত্বা পুত্রবধূকে তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে লজ্জায় ছেলের মা হনুফা বেগম (৪৫) আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের সন্তোষদি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মুরাদিয়া সন্তোষদি গ্রামের মজিবর মুন্সী ও হনুফা বেগম দম্পতির ছেলে জাকারিয়া মুন্সী একই এলাকার বাসিন্দা কলেজ শিক্ষক জাকির হোসেন ও শাহনাজ বেগম দম্পতির কন্যা জাকিয়া সুলতানা জুঁইকে নিয়ে পালিয়ে ৩ মাস আত্মগোপনে থেকে পরিবারের অমতে বিয়ে করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জাকির হোসেন জাকারিয়া মুন্সীসহ তার পরিবারবর্গের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা দায়েরসহ দফায় দফায় হামলা নির্যাতন চালায়।
মৃত হনুফা বেগমে ভাসুর মো. আবুল মুন্সী বলেন, পরিবারের অমতে ছেলের পালিয়ে বিয়ের ঘটনায় কনের বাবা জাকির মাষ্টার পরিবারের হামলা-মামলা ও পুলিশি হয়রানিতে অতিষ্ঠ হয়ে তার ছোট ভাই মজিবর মুন্সীর স্ত্রী আত্মহত্যায় বাধ্য হয়েছে। এ অকাল মৃত্যুর জন্য জাকির মাষ্টার ও তার পরিবারকে দায়ী করেছেন তিনি। একই সাথে তাদের অন্তসত্ত্বা নববধূ জুঁইকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোড়পূর্বক গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগ করেছেন তিনি।
ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সিকদার বলেন, এটি অত্যন্ত দু:খজনক একটি অনাকাঙ্খিত অকাল মৃত্যু! ছেলে মেয়ের অপকর্মের খেসারত দিতে হলো মাকে।
দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আবুল বাসার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এব্যাপারে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল