দিনাজপুরের বিভিন্ন স্থানের শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনা এবং স্থানীয় এমপির ম্যুরাল, ছবি, ব্যানার-ফেস্টুন ছিড়ে ও ভেঙে ফেলা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকগণ উপস্থিত হলেও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি তেমন ছিলো না।
এদিকে অনেক দলের নেতাকর্মীর জামিনে মুক্ত হয়ে বের হয়েছে। একেকজন একেক সময় মুক্ত হয়ে বের হলে খণ্ড খণ্ড আনন্দ মিছিল বের হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে দিনাজপুর সরকারী কলেজের আবাসিক হল থেকে কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে শিক্ষার্থীরা। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যদের তুলে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে দিনাজপুর সরকারী কলেজের সমন্বয়ক জোবায়ের হোসেন জানান, আমরা শিক্ষার্থীরা দেশের সম্পদ রক্ষায় কাজ করছি। শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতেও কাজ করছি। হলের ভিতরে পরিত্যক্ত অবস্থায় কিছু দেশীয় অস্ত্রসহ মাদক দ্রব্যের খালি বোতল পাওয়া যায়। পরে সেসব সেনাবাহিনীর হাতে দেয়া হয়।
সোমবার রাতে দিনাজপুরের বিরলে প্রেসক্লাবের সভাপতি এম,এ কুদ্দুস সরকারের বাড়ি ও গাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।অপরদিকে বিভিন্ন স্থানে দুর্বৃত্তদের দ্বারা কিছু লুটপাটের ঘটনা ঘটায় ব্যবসায়ী-দোকানদের মাঝে আতঙ্ক দেখা যায়। তবে এ অবস্থায় বিএনপি নেতৃবৃন্দদের বিভিন্ন স্থানে পাহাড়া দিতেও দেখা গেছে।
হাকিমপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফেরদৌস রহমান ও সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন শিল্পীসহ নেতৃবৃন্দরা হাকিমপুর পৌর এলাকায় ঘুরে ঘুরে ব্যবসায়ী-দোকানদের আশ্বস্ত করেছেন এবং নির্ভয়ে দোকান খুলতে বলেছেন।
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে অফিস খোলা থাকলেও কর্মকর্তাদের উপস্থিতি ছিল কম। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদে দেখা যায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনিসুর রহমান তার দপ্তরে ছিলেন। এসময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজাউল ইসলাম সেখানে উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের চেয়ারে উপরে দেয়ালে যে শেখ মুজিবুর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি উঠানো ছিল সেগুলো নামানো হয়েছে। কর্মকর্তাদের উপস্থিতি কম বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান অনেকের মধ্যে ভয় বিরাজ করছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার দুপুরের পর থেকে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর অনেক নেতা কর্মী ও সমর্থকরা গা ঢাকা দিয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল