৫ আগস্ট বিক্ষুব্ধ জনতার আক্রমণে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া শেরপুর সদর থানায় কাজে ফিরলেন পুলিশ সদস্যরা কাজে ফিরলেন। এসময় পরিদর্শনে আসা ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মো. আবিদ হোসেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে পদন্নোতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন) খন্দকার নজমুল হাসান। শেরপুর সদর থানায় আজই প্রথম পুলিশ ইউনিফর্মে কাজে যুক্ত হলো। অপর চারটি থানার কাজ ৩-৪ দিন ধরে স্বাভাবিক রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুর তিনটায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া শেরপুর সদর থানা ঘুরে ঘুরে ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শন করেন ডিআইজি। এসময় তিনি সদর থানায় কর্মরত সকল পুলিশ সদস্য এবং তাদের পরিবারের খোঁজ খবর নেন এবং পুলিশের মনোবল ধরে রাখতে তাদের সাথে মত বিনিময় করেন। তিনি পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে কাজ করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, পুলিশ তার অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে পরপারে সবার আগে পুলিশই জান্নাত পাবে। হীন রাজনৈতিক স্বার্থে পুলিশকে নিরীহ জনসাধারণের মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়েছিল। যার ফলে পুলিশের উপর এমন নিষ্ঠুরতা হয়েছে।
পরিদর্শন শেষে সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে ডিআইজি বলেন, সকল প্রতিকূলতা কাটিয়ে পুলিশ নতুন উদ্যমে কাজে ফিরেছে। পুলিশ জনগণের বন্ধু হয়ে কাজ করবে। পুলিশ দ্বারা সাধারণ মানুষ যেন কোনো প্রকার হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে মনোযোগ দেয়ার জন্য সকলকে মানবিক হয়ে কাজ করার নির্দেশ দেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, সারাদেশে ঘটে যাওয়া সকল হত্যাকাণ্ডের সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে সুবিচার নিশ্চিত করতে কাজ করবে বাংলাদেশ পুলিশ।
এসময় শেরপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা ডিআইজি শাহ মো. আবিদ হোসেনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এসময় ডিআইজি শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং শেরপুরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এসময় শেরপুরের পুলিশ সুপার মোঃ আকরামুল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোরশেদ আলমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল