শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় ঢলের পানিতে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলায় ৬ জনের মৃত্যু হলো। সোমবার সকালে সাড়ে ১১ টার সময় কলসপাড় ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া গ্রামে পানিতে ডুবে জিমি আকতার (৮) এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলেন-কলসপাড় ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া গ্রামের জিমি আকতার(৮) বাঘবেড় গ্রামের মানিক মিয়ার স্ত্রী অমিজা খাতুন (৪৫),নয়াবিল ইউনিয়নের আন্ধারুপাড়া গ্রামের ইদ্রিস মিয়া (৮০), নন্নী ইউনিয়নের অভয়পুর গ্রামের বছির উদ্দীনের দুই ছেলে আবু হাতেম (৩০) ও আলমগীর (১৭) এবং বাতকুচি গ্রামের মৃত আবদুল হাকিমের স্ত্রী জহুরা খাতুন (৪৫)।
নিহতের মামা ও এলাকাবাসী জানায়, জিমি আকতার (৮) শেরপুর সদরের চান্দেরনগর কড়ইতলা গ্রামের জামান মিয়ার সন্তান। গত বৃহস্পতিবার নানার বাড়ী কলসপাড়া ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া গ্রামের নুর আলীর বাড়ীতে বেড়াতে আসে। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জিমির ছোট মামা ফাহিমে(৯)সাথে বাড়ীর পাশে ঘোনাপাড়া মসজিদ সংলগ্ন সড়কের পাশে খেলছিল এক পর্যায়ে জিমি ও ফাহিম বন্যার পানিতে পড়ে যায়। পরে প্রত্যিক্ষদর্শী এক কিশোর বিষয়টি বুঝতে পেরে বাড়ির সবাইকে জানায়, পরে জিমির মামা হাবিবুল্লাহ সহ অন্যারা খুজাখুজি করে ফাহিমকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে। কিন্ত জিমিকে উদ্ধার করে অবস্থা খারাপ দেখে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্য চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে ভারী বৃষ্টি ও ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে নেমে আসা ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীতে পাহাড়ি ঢল নামে। এতে ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর বিভিন্ন অংশ ভেঙে ও বাধ উপচে ঢলের পানি উপজেলার কমবেশী সকল ইউনিয়ন প্লাবিত হয়। ৫ অক্টোবর থেকে উজানের পানি নামতে শুরু করে নিন্মাঞ্চলের যোগানিয়া,মরিচপুরান,কলসপাড়,রাজনগর ইউনিয়নে নুতন নতুন গ্রাম প্লাবিত হয়। এই চারটি ইউনিয়নের পানি খুব ধীর গতিতে নামতে থাকায় এ ইউনিয়ন গুলোর মানুষ ও গৃহপালিত পশু নিয়ে চরম বিপদের মধ্যে রয়েছেন। যেখানে উচু টিলা বা উচু সড়কে গৃহপালিত পশুদের বেধে রেখেছেন। পানিবন্দী মানুষদের উদ্ধার ও খাদ্য সহায়তায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ছাড়াও সেনাবাহিনী কাজ করছে।
কলসপাড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ বলেন, ঘোনাপাড়া গ্রামে পানিতে পড়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শিশুর নানা আমাকে ফোনে জানিয়েছে। আমি বন্যার্তদের ত্রাণ কাজে আছি। আমার ইউনিয়নের সবগুলো গ্রাম এখনো পানিবন্ধী।
বিডি প্রতিদিন/এএম