পঞ্চগড়ে আবারো ধরা পড়লো নীলগাই। সদর উপজেলার গড়িনাবাড়ি ইউনিয়নের সরকার পাড়া গ্রামে ভারত থেকে আসা এই নীলগাই গ্রামবাসীদের হাতে ধরা পড়েছে। রবিবার দুপুর ১২টার দিকে গ্রামের ঈদগাহ মাঠের পশ্চিমে নীলগাইটি আহত অবস্থায় ধরা পড়ে। নীলগাইটি কাঁটা তারের বেড়া পার হওয়ার সময় আহত হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।
খবর পেয়ে বনবিভাগের কর্মচারীরা নীলগাইটিকে উদ্ধার করে জেলা প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হওয়ার পর বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশে স্থানান্তর করা হবে বলে জানান তারা।
গ্রামবাসীরা জানান, বেলা ১১টার দিকে ইদগাহ মাঠের পেছনে মরিচ ক্ষেতে নারী শ্রমিকরা কাজ করছিল। এ সময় নীল গাইটিকে তারা দেখতে পায়। তারা গ্রামের লোকজনকে নীল গাইয়ের খবর দেয়। তাৎক্ষণিক তরুণ-যুবকরা এসে দল বেঁধে নীলগাইটিকে ধাওয়া করেন। প্রায় এক কিলোমিটার দৌড়াতে দৌড়াতে নীলগাইটি মাটিতে পড়ে যায়। পড়ে যাওয়া নীলগাইটির পা ধরে ফেলে তাড়া করা যুবকরা। এসময় দেখা যায় গাইটির মাথা এবং চার পায়ে চামড়া উঠে যাওয়ার ক্ষত রয়েছে।
খবর পেয়ে বন বিভাগের সদস্যরা সরকার পাড়া গ্রামে গিয়ে উৎসুক জনতার ভিড় ঠেলে নীলগাইটিকে রশি দিয়ে বেঁধে ভ্যানে তুলে প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে নেয়। বন বিভাগের সদস্যরা নীলগাইটি উদ্ধার করে জেলা সদর প্রাণী সম্পদ অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে ভেটেরিনারি ফিল্ড অ্যাসিসট্যান্ট রেজাউল করিম গাইটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
রেজাউল করিম জানান, আসলে গাইটির ক্ষত স্থানগুলো গভীরে চলে গেছে। তবে নিয়মিত চিকিৎসা দেওয়া হলে ইনশাল্লাহ সুস্থ হয়ে উঠবে।
পঞ্চগড় সদর উপজেলা বন কর্মকর্তা জয়নুল আবেদিন জানান, খবর পেয়ে আমরা নীলগাইটিকে উদ্ধার করেছি। গ্রামবাসীদের ভাষ্য মতে গাইটি ভারত থেকে এসেছে। দৌড়ানোর কারণে গাইটি প্রচণ্ড দুর্বল হয়ে পড়েছে। প্রায় পাঁচ ফিট লম্বা গাইটি। মুখ মাথা এবং পায়ের চামড়া উঠে গিয়ে মাংস বের হয়ে আছে। এ ধরনের প্রাণী আসলে বেশিক্ষণ লোকসমাগমে থাকলে স্ট্রোক করে মারা যেতে পারে। আসলে নীলগাইটিকে অন্য কোনো প্রাণী আক্রমণ করার কারণে আহত হতে পারে। অথবা কাঁটাতারের আঘাতেও আহত হতে পারে। আমরা জেলা প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার পর বেঁচে থাকলে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
বিডি প্রতিদিন/এমআই