নারায়ণঞ্জের সোনারগাঁয়ে প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে শিশির হালদার নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। উপজেলার কাচঁপুর সোনাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই যুবতীর বাবা বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
থানায় দায়ের করা অভিযোগের বিবরনীতে ওই ছাত্রীর বাবা উল্লেখ করেন, উপজেলার কাচঁপুর সোনাপুর এলাকার কমল হালদারের ছেলে শিশির হালদার তার মেয়েকে প্রতিদিন বাসায় প্রাইভেট পড়াতে আসতেন। প্রাইভেট পড়ানোর সময় নানা ভাবে ফুসলিয়ে এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের প্রস্তাব দেন। প্রথমে বিবাদীর প্রস্তাবে রাজী না হইলেও একপর্যায়ে শিশির হালদারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে শিক্ষার্থীর।
প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর শিশির হালদার তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে নিয়া শারীরিক সম্পর্ক করে। পরে শিশির হালদারকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে কালক্ষেপন করতে থাকে। একপর্যায়ে মেয়ে ৩ মাসের গর্ভবতী হয়ে পড়লে বিষয়টি শিশির হালদারকে জানালে ওষুধ সেবন করে পেটের বাচ্চা নষ্ট করে দেয়।
বিষয়টি নিয়ে তার পরিবারকে জানানোর পর শিশির হালদারের বাবা কমল হালদার ও ছোট ভাই পিয়াস হালদার উল্টো মেয়ের বাবাকে মারধর করে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
সোনারগাঁ থানার ওসি মফিজুর রহমান জানান, ধর্ষণের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
বিডি প্রতিদিন/এএম