১১ নভেম্বর, ২০১৯ ১৯:৩৪
তদন্ত প্রতিবেদন

ঘূর্ণিঝড়ে পূর্ব সুন্দরবনের দুটি রেঞ্জে মারা যায়নি কোন বন্যপ্রাণী

বাগেরহাট প্রতিনিধি:

ঘূর্ণিঝড়ে পূর্ব সুন্দরবনের দুটি রেঞ্জে মারা যায়নি কোন বন্যপ্রাণী

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে বাগেরহাটে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই ও শরণখোলা রেঞ্জে রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ কোন বন্যপ্রাণী মারা যায়নি। তবে ৬টি আবাসিক, ১৭টি অনাবাসিক, ১০টি জেটি ও ১৯টি নৌযানের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ ৩৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। 

দুই রেঞ্জ কর্মকর্তা সরেজমিন বন ঘুরে দেখে সোমবার সন্ধ্যায় তাদের প্রতিবেদন বাগেরহাটে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসানের কাছে জমা দিয়েছেন। তবে, কি পরিমাণ বনের ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপনের কাজ এখনো শেষ হয়নি বলে জানানো হয়েছে।
 
ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনে সংশ্লিষ্ট দুই রেঞ্জ কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। রবিবার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এ নির্দেশনা দেন। এ প্রতিবেদন পাওয়ার পরই মূলত জানা যাবে সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ। তবে বনবিভাগের সংগৃহীত প্রাথমিক তথ্য মতে, দুবলার চরে বাঁশ, গোলপাতা, হোগলা ও পলিথিন দিয়ে তৈরি জেলেদের অস্থায়ী কিছু ঘরের আংশিক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি বনবিভাগের বিভিন্ন ষ্টেশন ও ক্যাম্পের পুরানো স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এখন পর্যন্ত বন্যপ্রাণির ক্ষয়ক্ষতির কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। 

তবে মোংলার সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জ’র বৈদ্যমারী ক্যাম্প এলাকায় বেশ কিছু রেইন্টি/সিরিচ গাছ উপড়ে পড়েছে। 

বাগেরহাটে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে বনের কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে শনিবার চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. শাহিন কবির ও শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. জয়নাল আবেদীনকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তারা, স্ব-স্ব রেঞ্জ এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় আমার কাছে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তবে, বনের অরণ্যের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের কাজ এখনো চলছে। 

তিনি আরো জানান, প্রতিবেদনে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তান্ডবে বাগেরহাটে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই ও শরণখোলা রেঞ্জে রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ কোন বন্যপ্রাণী মরা যায়নি বলে তাদের রির্পোটে উল্লেখ করেছেন। তবে ৬টি আবাসিক, ১৭টি অনাবাসিক, ১০টি জেটি ও ১৯টি নৌযানের আংশিক ক্ষতি হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে। ঝড় হলে গাছপালার কিছু ক্ষতি হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবার  বন বিভাগের সতর্কতাবস্থার জন্যই বন ও বন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষতিসাধন থেকে রেহাই মিলেছে।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর