আবার ঢাকার ছবিতে কাজ করা, ভালো লাগাটা কেমন?
এককথায় আগের চেয়ে বেশি। এবার ঢালিউডের শীর্ষ নায়ক শাকিব খানের সঙ্গে অভিনয় করব, এখানকার জনপ্রিয় নায়িকা অপু বিশ্বাসও রয়েছেন ছবিতে। নির্মাতা রাজ ক্রিয়েটিভ একজন মানুষ। গল্পের লাইনআপটা সময় উপযোগী এবং অসাধারণ। সব মিলিয়ে ভালো লাগাটা অনেক গুণ বেড়ে গেল। আই অ্যাম ভেরি হ্যাপি নাও।
শাকিব-অপুর সঙ্গে নিশ্চয়ই কথা হয়েছে, তাদের নিয়ে কিছু বলুন।
অসাধারণ মানুষ তারা। শাকিবকে খুবই পোলাইট ও কো-অপারেটিভ মনে হয়েছে। অপু হাসি-খুশি সহজ সরল একটি মেয়ে। মজা করে কথা বলতে পারেন। দুজনকে একসঙ্গে পেয়ে খুব ভালো লাগছে। এর আগে যখন ঢাকায় এসেছিলাম তখনই জেনেছি বর্তমানে ঢালিউডে দুজনই বড় মাপের জনপ্রিয় শিল্পী। এখন কাজ করতে গিয়ে দেখছি সত্যি তাই তো।
কলকাতায় আমাদের দেশের ছবি বা শিল্পীদের পরিচিতি কেমন?
আসলে দুই বাংলার ভালোবাসার বন্ধন আগের চেয়ে এখন আরও মজবুত। সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও আমরা অনেক এগিয়েছি। এখন যদি দুই বাংলার ছবিতে উভয় দেশের শিল্পীরা নিয়মিত কাজ করে আর যৌথ প্রযোজনার পরিমাণ বাড়ানো যায় তাহলে পরিচয়ের ক্ষেত্রে অল্প স্বল্প যে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা একেবারেই ঘুচে যাবে। এখন তো উন্মুক্ত বিশ্বায়নের যুগ। সহজেই সবাই সারা বিশ্বের সব সেক্টর সম্পর্কে চাইলেই জানতে পারছে। তাই ঢাকার শিল্পীদের সম্পর্কে কলকাতার মানুষের ভালোই ধারণা আছে।
ঢাকার ফেরদৌস তো কলকাতার ছবিরও শিল্পী।
হ্যাঁ, আমি মনে করি, দুই বাংলারই ছেলে ফেরদৌস। নব্বই দশক থেকেই তিনি কলকাতায় কাজ করছেন। ঢাকার শিল্পী ও ছবি সম্পর্কে কলকাতার মানুষের জানাশোনা দীর্ঘদিনের। তা ছাড়া বাংলাদেশের কিংবদন্তিতুল্য অভিনেতা রাজ্জাক সাহেবও কলকাতার ছবিতে একসময় নিয়মিত অভিনয় করতেন। তাকে সবসময় টালিগঞ্জের শিল্পী বলেও মনে করি। ববিতা ম্যাডামও খ্যাতিমান নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের 'অশনি সংকেত' ছবিতে অভিনয় করে এখনো সেখানে জীবন্ত হয়ে আছেন। এ ছাড়া আরও অনেক শিল্পী কলকাতার ছবিতে অভিনয় করেছেন। তাই এখানকার শিল্পী ও ছবির সঙ্গে আমাদের দর্শকের পরিচয় অনন্তকালের।
ঢাকার ছবিতে নিয়মিত কাজ করবেন?
অবশ্যই। কারণ আগেই বলেছি আমরা ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ। কলকাতা আর ঢাকার ছবির মধ্যে আমার কাছে কোনো পার্থক্য নেই। মনের মতো গল্প আর চরিত্র পেলেই ছুটে আসব। এখানকার দর্শক নাকি আমাকে পছন্দ করে। বিষয়টি জানার পর নিজের ভিতর দায়িত্বটা আরও বেড়ে গেল। তাই প্রতিদান দেওয়ার সুযোগ খুঁজতে বারে বারে ঢাকার ছবিতে কাজ করতে চাই।
আলাউদ্দীন মাজিদ