কারাগারে থেকেই মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে।
দেশটির মধ্যবর্তী এই নির্বাচনে অপ্রত্যাশিত ফলাফল সামনে এসেছে, যা বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের সিনেটের ওপর কর্তৃত্বকে অনেকটা নাড়িয়ে দিতে পারে।
৮০ শতাংশ ভোট গণনার পর ধারণা করা হচ্ছে, মার্কোস জোট সিনেটে প্রত্যাশার থেকে কম আসন পেয়েছে।
অন্যদিকে তার প্রতিপক্ষ সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে কারাগারে থাকা অবস্থায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে হাজার হাজার মানুষকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার হন। বর্তমানে তিনি নেদারল্যান্ডের হেগে আটক আছেন।
এদিকে অভিসংশনের সম্মুখীন রদ্রিগোর মেয়ে সারা দুতের্তের ভাগ্য এখনও অনিশ্চিত।
জনপ্রিয় ওই ভাইস প্রেসিডেন্ট ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আশা করছেন। তবে যদি সিনেটরদের সমন্বয়ে গঠিত জুরি তাকে অভিসংশনের পক্ষে ভোট দেয় তাহলে রাজনীতি থেকে তার নিষিদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সোমবার অনুষ্ঠিত মধ্যবর্তী নির্বাচনে ১৮ হাজার আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। সিনেটে ১২টি আসনের জন্য ভোট হয়। এর মধ্যে সারা দুতের্তের জোট পেয়েছেন চারটি আসন। এর মধ্যে প্রেসিডেন্ট মার্কোসের বোন অন্যতম। যিনি সম্প্রতি তার ভাইয়ের জোট ত্যাগ করে দুতের্তের পক্ষে চলে গেছেন।
তবে এ বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয় যে, মার্কোসের জোট সিনেটে সারার অভিসংশনের বিষয়ে কীভাবে পদক্ষেপ নেবে।
এদিকে এই দুই জোটের সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই এমন দু’জনও সিনেটে আসন লাভ করেছেন। তারা হলেন- বাম অ্যাকুইনো ও তার একজন মিত্র ফ্রান্সিস প্যাঙ্গিলিনান।
রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত যে ফলাফল পাওয়া গেছে তাতে দেখা যায়-রদ্রিগো দুতের্তেকে গ্রেফতারের দুই মাস পরও দুতের্তেরা দেশটির দক্ষিণে ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। প্রেসিডেন্ট মার্কোস জুনিয়র রদ্রিগোর গ্রেফতারের বিষয়ে সমর্থন দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মার্কোস ও সারা দুতের্তের সম্পর্কের পারদ তুঙ্গে ওঠে। সূত্র: সিএনএন, দ্য গার্ডিয়ান, বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/একেএ