রাশিয়ার অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম বিশেষ করে এস-৪০০ বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং সামরিক হেলিকপ্টার সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে একটি পাকিস্তানি গুপ্তচর চক্রকে চিহ্নিত করেছে রাশিয়া।
দ্য ইকোনমিক টাইমসের খবর অনুযায়ী, সেন্ট পিটার্সবার্গে কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স অপারেশনের সময় এক রুশ নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তি সামরিক হেলিকপ্টার প্রযুক্তি ও বিমান-বিধ্বংসী ব্যবস্থা সংক্রান্ত গোপন নথি পাচারের চেষ্টা করছিল।
জানা গেছে, এই নথিপত্রগুলির মধ্যে বিশেষভাবে এমআই-৮এএমটিএসএইচ-ভি এবং এমআই-৮এএমটিএসএইচ-ভিএ সামরিক হেলিকপ্টারগুলির তথ্য ছিল। এছাড়াও, ইসলামাবাদের প্রধান সামরিক প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের হাতে থাকা এস-৪০০ সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেমের তথ্যও পাকিস্তানি গোয়েন্দারা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছিল বলে দাবি করা হয়।
এই তথ্য সেন্ট পিটার্সবার্গের এক ইঞ্জিনিয়ারের সাথে জড়িত একটি ফৌজদারি মামলার বিবরণের সাথে মিলে যাচ্ছে। ঐ ইঞ্জিনিয়ারকে সামরিক নথি পাকিস্তানে পাচারের চেষ্টার জন্য গত জুলাই মাসে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল।
তদন্তে প্রকাশ, ঐ ইঞ্জিনিয়ার বেসামরিক হেলিকপ্টার যেমন এম-১৭২এবং এমআই-৮ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি ব্যবসায়িক সফরে পাকিস্তানে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি এই হেলিকপ্টারগুলির সামরিক সংস্করণ সম্পর্কিত প্রযুক্তিগত নথি গোপনে পাচারের চেষ্টা করেন। সেন্ট পিটার্সবার্গ আদালতের একজন মুখপাত্রের ব্যাখা অনুসারে, এই নথিগুলো বিমান-বিধ্বংসী ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং হেলিকপ্টারগুলোর যুদ্ধ-সংস্করণ তৈরির কাজে ব্যবহার হতে পারত।
তবে, অভিযুক্ত তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, বেসামরিক ও সামরিক সংস্করণের হেলিকপ্টারগুলির ইঞ্জিন অভিন্ন হওয়ায় কাজের জন্যই এই নথিপত্রের প্রয়োজন ছিল।
উল্লেখ্য, গত মে মাসে পাকিস্তান দাবি করেছিল যে তারা ভারতের এস-৪০০ বিমান-বিধ্বংসী ব্যবস্থার কিছু অংশ ধ্বংস করেছে। ইসলামাবাদ জানায়, তারা ভারতের একটি বিমানঘাঁটিতে অবস্থিত এই সিস্টেমের কিছু অংশে আঘাত হেনেছে।
সূত্র: মিলিটারনি.কম
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল