রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা শিক্ষা কার্যক্রম পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে ডা. মোস্তফা-হাজেরা ফাউন্ডেশন। এরই অংশ হিসেবে ক্যাম্পে বিভিন্ন শিক্ষা কার্যক্রমের তথ্য সংগ্রহ চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন এ. কে. এম. গোলাম কিবরিয়া।
বুধবার সন্ধ্যায় কক্সবাজারের একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) হেলথ সিস্টেম ডেভেলপমেন্টের সাবেক পরিচালক ডা. সুলতানা খানম বলেন, রোহিঙ্গারা ক্যাম্পে থাকুক বা বাইরে, তাদের মধ্যে কোনো বৈষম্য থাকা উচিত নয়। যতদিন তারা এখানে থাকবে, ততদিন তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।
খ্যাতনামা ফটোসাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী ড. শহিদুল আলম বলেন, রোহিঙ্গারা এখনও নিজেদের দেশে ফিরে যাওয়ার মতো নিরাপদ পরিবেশ পায়নি। বাংলাদেশ তাদের জন্য অনেক করেছে, কিন্তু মানবতার দাবি আমাদের আরও পাশে থাকতে হবে।
বক্তারা বলেন, রোহিঙ্গা সংকট কেবল মানবিক নয়, এটি ন্যায়বিচার ও বৈশ্বিক জবাবদিহিতার প্রশ্ন। তারা মিয়ানমারের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত ও রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
ডা. মোস্তফা-হাজেরা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন এ. কে. এম. গোলাম কিবরিয়া জানান, তাদের ‘গ্লোবাল ফাইভ জিরো ক্যাম্পেইন’-এর আওতায় রোহিঙ্গা কল্যাণে একযোগে ফ্রি মেডিকেল সার্ভিস ও বিদ্যালয় পুনরায় চালুর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত তিন দিনে ফাউন্ডেশনের মেডিকেল টিম ৮০০ রোগীকে চিকিৎসা ও বিনামূল্যে ওষুধ প্রদান করেছে। এতে ৪ জন চিকিৎসক ও ১৬ জন স্বেচ্ছাসেবক অংশ নেন।
তিনি আরও জানান, স্থানীয় শিক্ষকদের সঙ্গে সমন্বয় করে রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য বিদ্যালয় পুনরায় চালুর রোডম্যাপ নেওয়া হয়েছে, যাতে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা শিক্ষার ধারাবাহিকতা ফিরিয়ে আনা যায়।
বিডি-প্রতিদিন/সুজন