বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রফেসর ডা. এ. জে. এম. জাহিদ হোসেন বলেছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে অনেকে আত্মসমর্পণ করেছেন, অনেকে সীমান্ত অতিক্রম করে পালিয়ে গেছেন। কিন্তু জিয়াউর রহমান পালিয়ে যাননি। তিনি তখন মেজর জিয়া হিসেবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। আমরা নিজের কানে তা শুনেছি। ঘোষণার পর তিনি পালিয়ে যাননি, বরং অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে দিনাজপুর সদর-৩ আসনে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণ উপলক্ষে সাংবাদিক ও সুধীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. জাহিদ বলেন, ৩ নভেম্বর জিয়াউর রহমানকে স্বপরিবারে গৃহবন্দী করা হয়। ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার বিপ্লবে তাকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে তিনি জনগণের আস্থা অর্জন করে দেশকে উন্নতির পথে এগিয়ে নেন।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান দায়িত্ব নেওয়ার পর একদলীয় শাসনের পরিবর্তন করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। দেশের অর্থনীতির তিনটি মূল চালিকা শক্তির ভিত্তি স্থাপন করে বিএনপি। বাংলাদেশের উন্নতির জন্য ধর্ম বা সম্প্রদায়ভেদে বিভাজন নয়— ঐক্যই মূল শক্তি। জিয়াউর রহমান সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’ দর্শন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা কোনো স্বৈরাচার মুছে ফেলতে পারেনি।
তিনি বলেন, কোনো অবস্থাতেই কারও প্রতি বিদ্বেষমূলক আচরণ করা যাবে না। উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হলে সব মানুষের সমঅংশগ্রহণে সম্পদের বণ্টন করতে হবে।
বিএনপি সবসময় মানুষের পাশে থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি— ক্ষমতায় এলে পালিয়ে যাব না। জনগণের পাশে থেকে তাদের সমস্যা সমাধানে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাব।
দিনাজপুরের উপশহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা বিএনপির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন দুলালের সভাপতিত্বে সাংবাদিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন। সভায় দিনাজপুর সদর-৩ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিজয়ের জন্য ভোট ও সহযোগিতা চান ডা. জাহিদ। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ কচি জানান, দিনাজপুর সদর-৩ আসনে নির্বাচনী মনিটরিংয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রফেসর ডা. এ. জে. এম. জাহিদ হোসেনকে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল