বলিউড অভিনেত্রী জিয়া খানের মৃত্যুর কারণ নির্ধারণে ফোনের মেসেজই ভরসা অন্যতম হাতিয়ার হতে পারত, তা আর হল না। মুম্বাই আদালতকে সিবিআই-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট ওই ফোনটি থেকে কোনভাবেই, জিয়া-সূরজের কথোপকথন জানা সম্ভবপর হয়নি।
জিয়া খানের আত্মহত্যাকে কেন্দ্র করে ২০১৩ সালে যথেষ্টই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। আর এই ঘটনার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছিলেন আদিত্য পাঞ্চোলির ছেলে সূরজ পাঞ্চোলি। জিয়া খানের লেখা চিঠির সূত্র ধরে জলঘোলা হয়েছিল ভালোই। যার রেশ এখনও অব্যাহত।
সূরজের সঙ্গে জিয়া খানের যে একটা প্রেমের সম্পর্ক ছিল তা অনেক বলিউড তারকাই স্বীকার করেছিলেন। আত্মহত্যার আগে জিয়া শেষবারের মতো সুরজের সঙ্গে ফোনালাপ করেছিলেন বলে জানা যায় কিন্তু কোনওভাবেই তাঁর আত্মহত্যার আসল কারণ জানা যায়নি। তবে পুলিশি অনুমান অতিরিক্ত মানসিক চাপেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন জিয়া।
ঘটনার পর থেকেই সূরজের মোবাইল ফোন ফরেনসিক টিমের কাছে ছিল। সোমবার সিবিআই প্রসিকিউটর রাজেন্দ্র ভাটনাগর জানিয়েছেন কোনও তথ্যই মেলেনি সুরজের ফোন থেকে। যদিও জিয়ার মা তার মেয়ের মৃত্যুতে জিয়ার বয়ফ্রেন্ড সূরজের দিকে প্রথম থেকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন।
যদিও সিবিআই সূত্রের দাবি সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সূরজকে নানা রকম টেস্ট(পলিগ্রাফ, ব্রেন ম্যাপিং) করার কথা বলা হলেও তিনি পুরোপুরি তা করবেন না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন।
সূত্র: কলকাতা টোয়েন্টিফোর
বিডি প্রতিদিন/ ৮ জুন, ২০১৭/ ই জাহান