সংগীতশিল্পী বেলাল খান এবার ‘শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক’ হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। পুরস্কারের এ তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেওয়ার জন্য আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন আরেক সংগীত পরিচালক মো. আশিকুর রহমান(এম এ রহমান)। বলা হচ্ছে, যে গানের জন্য বেলাল শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক মনোনীত হয়েছেন সেটির প্রকৃত সংগীত পরিচালনা করেছেন বলে দাবি করেছেন এম এ রহমান।
বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন বেলাল খান, তিনি এরই মধ্যে হাতিরঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি (নম্বর ১১৩৫) করেছেন। এম এ রহমানের আইনি নোটিশকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে বেলাল খান বলেন, ‘বিষয়টিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য সে যা যা করার, তা-ই করছেন। আমি পরিষ্কার করে বলি, গানটি আমার গাওয়া, সুর করা ও সংগীত পরিচালনা করা। সংগীত পরিচালনার স্বার্থে আমি তাঁর সংগীত অ্যারেঞ্জমেন্টের একটা পার্ট এখানে রেখেছি। সে ছাড়াও আরও মিউজিশিয়ান কাজ করেছেন এখানে। আমি গানে সেই ক্রেডিট তাঁকে দিয়েছি। গানটি আজ থেকে আড়াই বছর আগে প্রকাশিত হয়েছে। এই আড়াই বছরে একবারও বলেননি যে তিনি সংগীত এই গানের সংগীত পরিচালক। যখন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরিবোর্ড আমাকে এই সম্মান দিলেন, তখন কেন তিনি বিষয়টি নিয়ে কথা বলছেন? ব্যক্তিগতভাবে আমাকে ছোট করার উদ্দেশ্যে।’
তিনি বলেন, “পুরস্কার ঘোষিত ‘বিশ্বাস যদি যায় রে’ গানটির সুরকার, গায়ক ও সংগীত পরিচালক আমি বেলাল খান। গীতিকার জীবন মাহমুদ। এম এ রহমান গানটির আমার নির্দেশনা অনুযায়ী একজন মিউজিশিয়ান হিসেবে কাজ করেছেন। অথচ তিনি গানের সংগীত পরিচালক দাবি করে ফেসবুকে পোস্ট দেয়। যা অমাার জন্য সত্যি অসম্মানজনক ও দুঃখকর।” বেলাল খান আরও উল্লেখ করেন, “হৃদয় জুড়ে’ সিনেমার পরিচালক রফিক সিকদার ফেসবুকে জানান- এম এ রহমান নামে কাউকে তিনি চেনেন না। এই গানটির মিউজিক করার দায়িত্ব তিনি তাকে দেননি। বিবাদীর এ ধরনের ভ্রান্তিমূলক কথা ভিক্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণেদিত। যা আমার ক্যারিয়ারের জন্য অসম্মানের ও হুমকি স্বরূপ।”
এদিকে, আজ রবিবার এম এ রহমানের পক্ষে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মেজবা উদ্দিন শরীফ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। নোটিশে বলা হয়েছে, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০-এ যাকে শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক করা হয়েছে, উনি সংগীতের বাদ্যযন্ত্রের বিষয়ে কোনো ধারণা রাখেন না। তবু তাকে শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আদালতে রিট করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক