১৮ জুন, ২০১৬ ১৫:১০

এই বন্দুকযুদ্ধের মানে কি: ফারুকী

অনলাইন ডেস্ক

এই বন্দুকযুদ্ধের মানে কি: ফারুকী

মাদারীপুরে কলেজ শিক্ষক হত্যাচেষ্টার আসামি ফাহিম রিমান্ডে থাকাকালীন শনিবার ভোররাতে 'বন্ধুকযুদ্ধে' নিহত হয়েছেন। মৃত্যুর পর তার হাতে হাতকড়া দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ফাহিমের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

শনিবার সকালে নিজের ফেসবুকে 'বন্দুক, তুমি যুদ্ধ বোঝো, তদন্ত বোঝো না?' শিরোনামে লেখা ওই পোস্টে তিনি বলেছেন, ''যেখানে এই আক্রমণের হাত থেকে আস্তিক নাস্তিক, সংখ্যালঘু সংখ্যাগুরু, নারী পুরুষ, সিভিলিয়ান পুলিশ কেউই ছাড় পাচ্ছিলো না, যেখানে এটা দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়তেছিলো এবং আমরা কোনো বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের আলামত দেখছিলাম না, সেখানে মাদারীপুরের মানুষ এক আসামী হাতে নাতে ধরে ফেলার পর আশা করছিলাম ভেতরের কলকাঠির সুলুক সন্ধান করা হবে। সেই স্থলে এই বন্দুকযুদ্ধের কি মানে?''

বুধবারের ওই হত্যাচেষ্টার ঘটনায় বৃহস্পতিবার মামলা দায়েরর পর শুক্রবার কলেজ ছাত্র ফাহিমকে দশ দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত। সেদিন রাতে জেলার মিয়ারচর এলাকায় জঙ্গিবিরোধী অভিযানে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ফাহিম।

ফারুকী তার ফেসবুকে লিখেছেন, ''যদিও আমি জানি এই শব্দ ব্যবহারের তাৎপর্য কি, তবুও সংখ্যালঘু শব্দটা কেনো জানি আমি নিতে পারি না। সরাসরি হিন্দু বা অন্য যে পরিচয় আছে সেটা লিখলে কি ক্ষতি? আমার কোনো বন্ধুরে লঘু ভাবতে আমার খুবই আপত্তি হয়।''

''ছোটবেলা থেকেই আমাদের কোনো হিন্দু বন্ধুরে আমরা কখনো লঘু হিসাবে দেখছি বলে মনে পড়ে না। এই ভাবা বা ডাকার মধ্যেই আমি ঝামেলা পাই। আমার মনে হয় এর মধ্য দিয়ে আমি আমার মতোই একজনকে চাপ দিয়ে ছোটো বানাইয়া দিচ্ছি। আমি তখন আর তার চোখের দিকে তাকাইয়া কথা বলতে পারি না।''

এর আগে ১৬ জুন হত্যাচেষ্টার সময় ফাহিম জনতার হাতে ধরা পড়ায় ফারুকী মাদারীপুরের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফেসবুকে লিখেছিলেন, ''মাদারীপুরের মানুষকে স্যালুট। যদিও মনে করি জনতা নিজেই নিজেকে প্রটেকশন দিবে এটা কোনো সাসটেনেবল মেথড না, তবুও একটি মোটর সাইকেল, কটি চাপাতি যখন সারা দেশ জুড়ে মানুষ মেরে যাচ্ছে ধরা না পড়েই, তখন জনতা হাতে নাতে জঙ্গী ধরে ফেললে একটু হলেও আশা জাগে।'' তিনি সরকারকে উদ্দেশ্য করে লেখেন, ''এইবার একটু তদন্ত করেন। ভেতরে কি আছে দেখেন। এই খুনের মিছিল থামান।''

বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর